সময় যত এগোচ্ছে তত বিজেপির শক্তি ক্ষয় হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিধায়করা ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। তার উপর পঞ্চায়েতের সদস্যরা বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে চলেছেন। হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল কদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এবার রায়গঞ্জের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আসতে চলেছে। কারণ বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা এখানের সম্পর্ক ত্যাগ করে একে একে চলে গেলেন ঘাসফুল শিবিরে। সুতরাং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় ভাঙন দেখা দিল উত্তরবঙ্গে।
এদিকে দু’দিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় বিজেপি ছেড়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সুপ্রকাশ গিরির হাত ধরেই তা ঘটেছিল। এবার রবিবার রামপুরে এক কর্মসূচিতে রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ফুলমণি মার্ডি–সহ ৭ জন বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন তাঁরা। এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রায়গঞ্জে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন পরিবেশকর্মীরা, কী ঘটল ফুসফুসে?
অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা হয়ে গেল ১২ জন। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক ব্লক রায়গঞ্জ–২ সভাপতি দীপঙ্কর বর্মন বলেন, ‘রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৩টি বুথে ২৬টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। দুটি আসন সিপিএম, ১টি আসন কংগ্রেস এবং ৪টি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে তিন মাস আগে একজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর এবার উপপ্রধান–সহ বিজেপির ৭ জন সদস্য যোগ দিলেন। সুতরাং সব মিলিয়ে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা হয়েছে ১২ জন।’
এছাড়া বিরোধী সংস্রব ত্যাগ করার ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এদিন এই সাংগঠনিক কর্মসূচিতে জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সুতরাং ভাঙল লেগেই রয়েছে। আরও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধীদের হাতছাড়া হবে বলে সূত্রের খবর। এতে ওই পঞ্চায়েতে মোট ২৭টি আসনের মধ্যে ২৫টি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েছে। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য, ‘বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন। এবারের এই যোগদান সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে।’ বিজেপি থেকে যোগ দেওয়ায় রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের কথায়, ‘বিজেপি উন্নয়নের কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও হেলদোল নেই। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে আসা।’