বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ব্যারাকে চলল গুলি, পুলিশকর্মীর কি আত্মহত্যার চেষ্টা?

রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ব্যারাকে চলল গুলি, পুলিশকর্মীর কি আত্মহত্যার চেষ্টা?

কনস্টেবলের নাম তাপি থোকদার

নিজেকেই তাক করে গুলি চালান তিনি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এই গুলির শব্দ শুনে বাকি সহকর্মীরা ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ওই কনস্টেবল। তখন তাঁকে তড়িঘড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।

আজ, সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ব্যারাকে চলল গুলি। গুলি চলার শব্দে কেঁপে উঠেছে পুলিশ ব্যারাক সংলগ্ন এলাকা বলে খবর। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিশকর্মী। কর্তব্যরত অবস্থায় সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানা এলাকায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কেন এমন ঘটালেন ওই পুলিশকর্মী?‌ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছে রায়গঞ্জে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই পুলিশকর্মী একজন কনস্টেবল। আজ, সোমবার তিনি ব্যারাকে ডিউটি করছিলেন। হঠাৎ সবার নজর এড়িয়ে ব্যারাকের ভিতরেই অন্য জায়গায় চলে যান তিনি। তার পর নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে নিজেকেই তাক করে গুলি চালান তিনি। তাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এই গুলির শব্দ শুনে বাকি সহকর্মীরা ছুটে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ওই কনস্টেবল। তখন তাঁকে তড়িঘড়ি তুলে নিয়ে গিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কনস্টেবলের নাম তাপি থোকদার (‌৩২)‌। ওই পুলিশকর্মী নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গলা লক্ষ্য করে গুলি চালান। কিন্তু সেটি থুতনিতে গিয়ে লাগে। গলায় গুলি লাগলে বাঁচানো যেত না। আজ, সোমবার সকালে ব্যারাকে নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালান রায়গঞ্জ থানার ওই কনস্টেবল। তাঁর থুতনির নীচে গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই পুলিশ কর্মীকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন পুলিশকর্মী সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, ইদানিং তাঁর মন খারাপ ছিল। বেশ কিছুদিন তিনি কোনও ছুটি পাননি। তাছাড়া বাড়িতে একটা সমস্যা ছিল। যার জন্যই সেখানে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। এই দু’‌দিকের চাপে পড়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কনস্টেবল। তাই নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাপি থোকদারের এই কাণ্ডে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশকর্মীর পরিবারের লোকজন এবং সহকর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হচ্ছে।‌ হাসপাতালে এই পুলিশকর্মী এখন চিকিৎসাধীন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন