লাইনে বড় ফাটল ছিল। তা কোনও ভাবে নজর এড়িয়ে গেলেই হতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা। তবে সঠিক সময়ে ফাটলটি রেলকর্মীদের চোখে পড়ায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল হাওড়াগামী ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ। এক্সপ্রেস ট্রেনটি যখন দুর্গাপুর থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল তখন রাজবাঁধ স্টেশনের কিছু আগে বিশাল ঝাঁকুনি সাথে প্রচন্ড আওয়াজ করে থেমে যায় সেটি। তারপর জানা যায় যে লাইনে ফাটলের জেরে হঠাৎই ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দুর্গাপুর ও রাজবাঁধ স্টেশনের মাঝামাঝি সাগড়ভাঙ্গায় ফাটলটি ছিল। রেলকর্মীদের তৎপরতায় লাইনের সেই ফাটলের বেশ কিছুটা আগেই থামানো হয় ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসটিকে। পরে লাইনে ক্ল্যাম লাগিয়ে ফের হয় ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসকে ছাড়া হয়। এর জন্য এক ঘণ্টা বিলম্ব হয়। তবে প্রাণে বাঁচেন কয়েকশো মানুষ।
ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসের কিছু আগেই সেই একই লাইনে দুর্গাপুর থেকে পানাগড়ের দিকে যায় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ট্রেন। দুর্গাপুর স্টেশন ছেড়ে কিছুটা যাওয়াপ পর ওই ট্রেনে অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি অনুভব করেন চালক। এরপরই পানাগড় স্টেশনে খবর পাঠিয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেন তিনি। এরপর ফাটল খোঁজার কাজ শুরু হয়। ততক্ষণে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসকেও দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
ফাটল নজরে পড়তেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রেলের বিশেষ একটি দল ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ফাটল মেরামতের কাজ সম্পন্ন হতে এক ঘণ্টা পর ফের ছেড়ে দেওয়া হয় ট্রেনটিকে। কীভাবে এই ফাটল দেখা দিল রেল লাইনে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।