ফের একবার রেল দুর্ঘটনা ঘটল পশ্চিমবঙ্গে। কয়েক মাস আগে উত্তরবঙ্গের রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও পুরপুরি ম্লান হয়ে যায়নি মানুষের মনে। এরই মাঝে সেই উত্তবঙ্গেই লাইনচ্যুত হল আরও একটি ট্রেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ময়নাগুড়ি রেল স্টেশনের কাছেই লাইনচ্যুত হয়েছে একটি পণ্যবাহী মালগাড়ি। জানা গিয়েছে, স্টেশনে ঢোকার মুখেই ইঞ্জিন থেকে ছিটকে যায় বেশ কয়েকটি বগি। এই ট্রেনটি অসম থেকে এনজেপি-র দিকে যাচ্ছিল বলে জানা যায়। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে লাইনের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক পোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে কীভাবে এবং কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: পুজোর আগে লোকাল যাত্রীদের জন্য স্টেশনগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা, জানাল পূর্ব রেল)
আরও পড়ুন: পুজোর আগে বড় রায় আদালতের, দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলবে বকেয়া,হাসি সরকারি কর্মীর মুখে
আরও পড়ুন: জ্বালানি ট্যাঙ্কে ফুটো, মাঝ আকাশে বিপত্তি! ২৩১ যাত্রী নিয়ে কলকাতায় অবতরণ বিমানের
জানা গিয়েছে, নিউ ময়নাগুড়ির বেদগাড়ায় এ দিন সকালে লাইনচ্যুত হয় মালগাড়িটির পাঁচটি বগি। এরপরই তৎক্ষণাত রেল দফতরে খবর দেওয়া হয়। রেল দফতরের আধিকারিকরা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কিছু পরই। ঘটনা প্রসঙ্গে ডিআরএম আলিপুরদুয়ার জানিয়েছেন, অসম থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী একটি গুডস ট্রেনের পাঁচটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে, রেল বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেদগাড়া স্টেশনে।
আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে আর যাত্রী নিয়ে ছুটবে না ট্রাম, মামলার মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
উল্লেখ্য, বিগত দিনে পরপর বেশ কয়েকটি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে দেশে। এর জেরে রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু রেছে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে সোমনাথ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তার আগে ১৭ অগস্ট ভোরে ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। সেই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে ট্রেনের ২০টি কামরা। এর আগে জুন মাসে শিয়ালদার দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। তারপরে চক্রধরপুরে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে হাওড়া-মুম্বই মেল। দুটি ঘটনাতেই একাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়। প্রশ্ন ওঠে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। সেই দুর্ঘটনাগুলির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের লাইনচ্যুত ট্রেন।
এদিকে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহির ভাবে বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার মাধ্যমে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর ছক কষা হচ্ছে। যা নিয়ে সতর্ক কর্তৃপক্ষ। কোথাও সিলিন্ডর রেখে দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে তো কোথাও সিমেন্টের স্ল্যাব বা রড।