রেল অবরোধে নাকাল হলেন অফিসযাত্রীরা। বর্ধমান–হাওড়া কর্ড শাখার পাল্লা রোড স্টেশনে অফিসটাইমে চলল রেল অবরোধ। গ্রামীণ রাস্তায় রেল প্রাচীর তোলার আশঙ্কা এবং দোকান ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে পাল্লা রোড স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অবরোধের জেরে বর্ধমান–হাওড়া কর্ড শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ রেল অবরোধের ঘটনায় বিপাকে পড়েন অফিসযাত্রীরা। তবে রেল পুলিশের তৎপরতায় অবরোধ এবং আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ঠিক কী ঘটেছে পাল্লা রোড স্টেশনে? স্থানীয় সূত্রে খবর, পাল্লা রোড স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় থাকা দোকান রেলের পক্ষ থেকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকী আদিবাসী পাড়ায় যাওয়ার গ্রামীণ রাস্তাতেও প্রাচীর তুলতে শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ করেন আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা। একেবারে অফিসটাইমে রেল অবরোধ করেন তাঁরা।
তারপর সেখানে কী ঘটল? এই রেল অবরোধের জেরে স্টেশনে ঢোকার মুখে আটকে পড়ে হাওড়া–বর্ধমান লোকাল। নাকাল যাত্রীরা চিৎকার জুড়ে দেন। তা শুনে ছুটে আসেন পাল্লা রোডের রেল আধিকারিক থেকে আরপিএফ এবং জিআরপি। দু’পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। সেখানেই রেল কর্তারা স্টেশনের পাশ দিয়ে প্রাচীর না তোলার আশ্বাস দেন। তখন অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবারই বারাসতের কাজিপাড়ায় রেল অবরোধ করেছিল এলাকাবাসী। রেল অবরোধের জেরে শিয়ালদহ–হাসনাবাদ শাখায় রেল চলাচল ব্যাহত হয়। আবার পাশ করানোর দাবিতে দত্তপুকুর স্টেশনে রেললাইনে নেমে অবরোধ করেন উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য ছাত্রীরা। এমনকী হাওড়ার দক্ষিণ–পূর্ব শাখার বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটল পাল্লা স্টেশন রোডে।