আজ, শনিবার সকাল থেকেই নিম্নচাপের বৃষ্টি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে দেরিতে চলছে ট্রেন বলে অভিযোগ। লোকাল ট্রেন নিত্যদিন দেরিতে চলে বলে অভিযোগ। বৃষ্টির দিনও দেরিতে চলছে লোকাল ট্রেন। ফলে গন্তব্যে পৌঁছনো কঠিন হয়ে উঠছে। এই অভিযোগ তুলে আজ দেউলটি স্টেশনে রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। তার জেরে হাওড়া–খড়গপুর শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। এই পরিস্থিতিতে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের বলে অভিযোগ।
বছরের শেষ সময় এসেও লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে যাতায়াত করছে না বলে উঠছে অভিযোগ। আজ শনিবার বৃষ্টিভেজা সকালে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। যদিও মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। এই আধঘণ্টা সময় অফিসটাইমে নষ্ট হওয়ায় ক্ষেপে ওঠেন নিত্যযাত্রীরা। রেলের পক্ষ থেকে কোনও সহায়তা না মেলায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তার জেরেই এই রেল অবরোধ করতে বাধ্য হন তাঁরা। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও দিন লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে এল না।
আরও পড়ুন: শীতকালীন অধিবেশন শেষ তপ্ত বাতাবরণে, নির্দিষ্ট সময়ের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন দুই কক্ষে
নিত্যযাত্রীরা রেল অবরোধ করে অভিযোগ তোলেন, হাওড়া–খড়গপুর শাখায় সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই লোকাল ট্রেন দেরিতে চলছে। তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে কোনও সদুত্তর রেলের পক্ষ থেকে মেলে না। আজ আবার ৪০ মিনিট দেরিতে ট্রেন চলতে দেখা গিয়েছে। আর তাতেই ক্ষোভ চরমে ওঠে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। আবার রাতে তাঁরা দেখতে পান, হাওড়া থেকে ছাড়া ট্রেনকে বারবার দাঁড় করিয়ে দুরপাল্লার ট্রেনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না নিত্যযাত্রীরা।
এমনটা কেন হবে রোজ? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিত্যযাত্রীরা। তারপর তা রেল অবরোধে পরিণত হয়। ওই শাখার যাত্রীদের ক্ষোভ নতুন কিছু নয়। শনিবার সকালে খড়গপুর–হাওড়া লোকালকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। তখন অন্য ট্রেন পাস করানো হয়। যা দেখে ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। আর তেতে ওঠেন যাত্রীরা। তখন আর এসব সহ্য করতে না পেরে দেউলটি স্টেশনে রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। তার জেরে নানা লোকাল ট্রেন নানা স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। রেল অফিসাররা ঘটনাস্থলে যান। নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন অফিসাররা। ৩০ মিনিট পর ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রেল অবরোধের জেরে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন এখনও দেরিতে চলছে।