বুধবার লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে দফায় দফায় শিয়ালদহ–বনগাঁ শাখার দত্তপুকুর স্টেশনে অবরোধ, বিক্ষোভ করতে দেখা যায় যাত্রীদের। লোকাল ট্রেন কবে চলবে? এই প্রশ্ন তুলেই রেল অবরোধ করলেন যাত্রীরা। প্রায় ঘন্টা দেড়েক ধরে চলে এই অবরোধ। পরবর্তীতে রেলের কর্তারা এলেও অবরোধ অব্যাহত থাকে। বিক্ষোভকারী যাত্রীদের দাবি, অন্যান্য স্টেশনে—বারাসত, মধ্যমগ্রাম থেকে লোকাল চললেও দত্তপুকুর স্টেশন থেকে কোন লোকাল ট্রেন চলছে না অফিস–টাইমে।
মূলত ৮টা ৪২ মিনিট এবং ৯টা ৪২ মিনিটে—দত্তপুকুর লোকাল চালানোর দাবিতেই এই অবরোধ বিক্ষোভ যাত্রীদের। যদি দত্তপুকুর লোকাল অবিলম্বে চালানো না হয় তাহলে যাত্রীরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে জানান। তাদের দাবি অফিসটাইমে এই দুই লোকাল বন্ধ থাকার কারণে দত্তপুকুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে পারে না যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে পৌছায় জিআরপি ও কথা বলে যাত্রীদের সঙ্গে।
কিছুতেই অবরোধ থেকে পিছু হটে না অবরোধকারীরা। তাদের দাবি যদি এই দুই লোকাল ট্রেন অবিলম্বে চালু না করা হোক নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। রাস্তায় নেমেছে সরকারি–বেসরকারি বাস। ধাপে ধাপে যখন মেট্রোর সংখ্যাও যখন বাড়ছে, তখন করোনা সংক্রমণে রুখতে বন্ধ লোকাল ট্রেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগাঁ সিআরপি, আরপিএফ ও দত্তপুকুর থানার পুলিশ। দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন রেলের আধিকারিকরা।
দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা পর দত্তপুকুর স্টেশনের অবরোধ রেলের আধিকারিকদের আশ্বাসে তুলে নিল বিক্ষোভকারীরা। রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে আশ্বাস দেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে আপাতত লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৬ অগস্টের পর পরিষেবার স্বাভাবিক করার কথা ভেবে দেখা হবে। কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। এই আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে তাঁদের দাবি, যদি ১৬ তারিখের পর দত্তপুকুর লোকাল না চলে তাহলে ফের তারা বিক্ষোভে পথে হাটবে।