পাঁচদিনের অচলাবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বিচ্ছিন্ন। এসবের মধ্যে শনিবার বেলার দিকে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন কুড়মি সমাজের প্রধান নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো। কিছুটা হলেও স্বস্তি ছড়িয়েছিল অনেকের মধ্যে। এবার হয়তো স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবরোধ উঠব, উঠব করেও উঠল না। আসলে বিক্ষোভকারীদের একাংশ অবরোধ আন্দোলন তুলতে নারাজ। বেঁকে বসেছেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে তবে কি রেল রোকো কর্মসূচিকে ঘিরে কোনওভাবে মতভেদ তৈরি হয়েছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে?
আন্দোলনকারীদের শীর্ষ নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমাদের লড়াই আরও চলবে। তবে উৎসবের মরসুমে মানুষের সমস্যার কথা ভেবে আন্দোলন তোলা হয়েছে। এমন নয় যে এখন প্রত্যাহার করলাম বলে আর আন্দোলন করব না। ফুর্তি করতে তো আর আন্দোলন করছি না। দাবি নিয়ে আগামী দিনে প্রয়োজন হলে আবার আন্দোলনে নামব।
এরপরই পুরুলিয়ার কুস্তাউরে আন্দোলন প্রায় উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ বিক্ষোভকারীদের একাংশ নেতৃত্বের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তার জেরেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ওঠেনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতেও আন্দোলন অব্যাহত। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
খেমাশুলিতে কুড়মি সমাজের এক রাজ্য নেতার দাবি, পুরুলিয়া থেকে যদি আন্দোলন উঠে গিয়ে থাকে তবে সেখানকার নেতাদের কাছে প্রশ্ন, সরকারিভাবে কি লিখিত কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিগতদিনে নিউ কোচবিহার স্টেশনে ঠিক একইভাবে রেল অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছিলেন গ্রেটার নেতৃত্ব। সেবারও কয়েকদিন পরে গ্রেটার নেতা বংশী বদন বর্মন সরে এলেও অন্যান্যরা রেল লাইন ছেড়ে সরতে চাননি।