লাগাতার অবরোধে বিপর্যস্ত রানাঘাট – লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচল। মঙ্গলবারের পর বুধবারও জালালখালি হল্ট স্টেশনে চলছে অবরোধ। স্থানীয়দের দাবি, সমস্ত ট্রেন দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি না মেলা পর্যন্ত অবরোধ তুলবেন না তাঁরা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে হল্ট স্টেশনে সব ট্রেন দাঁড় করানোর নিয়ম নেই। তবে স্থানীয়দের দাবির সংখ্যা বিবেচনা করে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।
শিয়ালদা মেইন শাখার কৃষ্ণনগর ও বাদকুল্লার মধ্যবর্তী স্টেশন জালালখালি হল্ট। সারা দিনে সেখানে দাঁড়ায় মোট ১৩টি ট্রেন। তার মধ্যে মাত্র ৭টি শিয়ালদামুখি ডাউন ট্রেন। বাকি ৬টি ট্রেন কৃষ্ণনগরমুখি। শিয়ালদামুখি ৭টি ট্রেনের মধ্যে ৫টি কৃষ্ণনগর লোকাল ও ২টি লালগোলা প্যাসেঞ্জার।
স্থানীয়দের অভিযোগ ট্রেন ধরতে তাদের ছুটতে হয় কৃষ্ণনগরে। চোখের সামনে দিয়ে একের পর এক ট্রেন চলে গেলেও চড়তে পারেন না তাঁরা। ওদিকে বাস, অটোর ভাড়া যে হারে বেড়েছে তাতে কৃষ্ণনগরে ট্রেন ধরতে যেতে পকেটে টান পড়ছে এলাকার গরিব মানুষের। তাই সব কৃষ্ণনগর ও গেদে লোকাল ও লালগোলা প্যাসেঞ্জার জালালখালি হল্টে দাঁড় করাতে হবে। এই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে রেল অবরোধ শুরু করেছেন স্থানীয়রা। বুধবারও চলছে অবরোধ।
ওদিকে অবরোধের জেরে কৃষ্ণনগর ও গেদে লোকাল বাদকুল্লা পর্যন্ত চলাচল করছে। বাতিল করা হয়েছে লালগোলা প্যাসেঞ্জার। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আলোচনার ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান চায় তারা। সেজন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলের আধিকারিকরা। তবে কোনও ভাবেই সব ট্রেন দাঁড় করানো সম্ভব নয়। ওদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে রেলের তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি।