রেলের গুদামের ভিতরেই রেলকর্মীর পচন ধরা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির চিনাকুড়ি এলাকায়। মৃতের নাম চন্দন পাসোয়ান (৫৫)। দেহে একাধিক গুলির ক্ষত মিলেছে। রেলের কর্মী ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক ভাল ছিল না বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে কুলটি থানার পুলিশ।
রেলের কর্মী চন্দনকে গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা। বুধবার রাতে কুলটির চিনাকুড়ি এলাকায় রেলের একটি গুদামের এক কোণে তাঁর দেহ মেলে। রেলের কর্মীরা দেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। রেল পুলিশের কর্মীরা দেহটি উদ্ধার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। দেহের মাথায় ও পেটে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে তাঁকে।
দেহ উদ্ধারের পর খবর দেওয়া হয় মৃতের পরিবারকে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির লোকেদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না চন্দনের। নিত্য অশান্তির জেরে আলাদা থাকতেন তিনি। সারা দিন মেতে থাকতেন কাজ নিয়ে। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, কাজের ছেলে বলে পরিচিত চন্দন খুব বদমেজাজি স্বভাবের ছিলেন। যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে অনেকের বিবাদ বেঁধে যেত।
দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নেমে শেষ কবে কার সঙ্গে চন্দনকে দেখা গিয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।