গত পাঁচ বছরে কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যা করেছেন ১৯ জন। বুধবার সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। একইসঙ্গে আত্মহত্যা রুখতে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত সব মেট্রো স্টেশনে গার্ড রেল বসানোর কাজ শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এ নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। গার্ডরেল দিয়ে আদৌও কি আত্মহত্যা রোধ করা সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যা রুখতে পারার জন্য রেলের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফের মেট্রোয় মরণঝাঁপ! আত্মহত্যার জেরে ব্যাহত পরিষেবা, বিপাকে যাত্রীরা
মালা রায়ের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বছর ভিত্তিক পরিসংখ্যান দিয়ে কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার তথ্য তুলে ধরেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ১ জন, ২০২২ সালে ৫ জন, ২০২৩ সালে ৪ জন এবং চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা মেট্রোতে ২ জন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ২০২৪ সালে ৭ জন আত্মহত্যা করেছেন, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
মালা রায় জানান, তিনি গত পাঁচ বছরে মেট্রোয় আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যা রুখতে প্ল্যাটফর্মগুলিতে স্লাইডিং দরজা স্থাপনের কোনও প্রস্তাব আছে কিনা, তা জানতে চেয়েছিলেন। বুধবার সংসদে বৈষ্ণব বলেন, গ্রিন লাইনের ১২টি স্টেশনেই স্লাইডিং দরজা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্লু লাইনে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করার জন্য গার্ডরেল বসানো হবে। কালীঘাট স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে ইতিমধ্যেই এই ধরনের গার্ড রেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে কেন্দ্র শহরের মেট্রো স্টেশনগুলিতে স্লাইডিং দরজা বসানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। কারণ এর খরচ বেশি। এরজন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচ হত।
তবে গার্ডরেল বসানো হলে কি আত্মহত্যার প্রবণতাকে আটকানো যাবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেল মন্ত্রককে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার সংখ্যা কমানো যায়নি। এটা রেলের ব্যর্থতা। তাই ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এই গার্ডরেল বসানোর কথা বলা হচ্ছে। তাঁর মতে, স্লাইডিং দরজার পরিবর্তে গার্ডরেল বসিয়ে আত্মহত্যা রোধ করা যাবে না। নির্লজ্জ রাজনীতি করছে কেন্দ্র।