নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তারকনগর হল্টে রেল অবরোধের জেরে দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীরা। আজ সকাল থেকে তারকনগরে রেল অবরোধ করেন মতুয়ারা। যার জেরে গেদে রানাঘাট লাইনে দীর্ঘক্ষণ ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। প্রায় ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে রেল অবরোধ। অবশেষে রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর আশ্বাসে রেল অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
আজ সকালে মতুয়ারা গেদে রানাঘাট লাইনের তারকনগর হল্টে রেল অবরোধ করেন রেলগেট তৈরির দাবিতে। তাদের বক্তব্য, রেললাইন পারাপার হওয়ার জন্য তারকনগর হল্টের কাছে কোনও রেলগেটে ছিল না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাদের রেললাইন পারাপার করতে হতো। পরে স্থানীয়দের সুবিধার জন্য সেখানে বাঁশের রেলগেট তৈরি করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই যাতায়াতের রাস্তাটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় রেল। এর ফলে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। তারই প্রতিবাদে আজ রেল অবরোধ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের দাবি, অবিলম্বে রেলগেট খুলে দিতে হবে। রেলগেট না খুলে দেওয়া পর্যন্ত তারা অবরোধ চালিয়ে যাবে। বিক্ষোভের জেরে এদিন সকাল থেকেই গেদে রানাঘাট লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। বাংলাদেশগামী কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস দীর্ঘক্ষণ ধরে কল্যাণী স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ দেখান। তাদের বক্তব্য, রেলগেট বন্ধ থাকার ফলে যাতায়াতে সমস্যার পাশাপশি কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে যেতে গিয়েও তাদের সমস্যা হচ্ছে। তার ওপর কয়েক দিনের মধ্যে স্কুলে গেলে আরও সমস্যা হবে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। তিনি সেখানে রাস্তা খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি সেখানে রেলগেট তৈরির আশ্বাস দেন। এরপর অবরোধ উঠিয়ে নেন বিক্ষোভকারীরা।