আরও গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছে শালিমার স্টেশনের। এখান থেকে অনেকগুলিই দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়ে। কিন্তু তা হাওড়া–শিয়ালদহের থেকে কম। এই পরিস্থিতিতে হাওড়ার চাপ কমাতে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন হাওড়া থেকে শালিমার স্টেশনে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। অক্টোবর মাসেই এই পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর।
কোন কোন ট্রেন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে? দক্ষিণ–পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শালিমারে সরানো হবে— করমণ্ডল, জ্ঞানেশ্বরী, ইস্ট কোস্ট, হাওড়া–পুরী, তিরুপতি, জগন্নাথ, ধৌলি, অমরাবতী–সহ একাধিক এক্সপ্রেস। হাওড়া স্টেশনের চাপ কমাতে শালিমারকেই এই দূরপাল্লার ট্রেনগুলিকে প্রান্তিক স্টেশন করা হবে। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওই স্টেশনটিকে নতুন টার্মিনাল হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে।
বোটানিক্যাল গার্ডেন, হাওড়া, উলুবেড়িয়া–সহ বহু রুটের বাস–মিনিবাস শালিমার যায়। এখানে কিছু সমস্যা আছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন। বাসস্ট্যান্ড থেকে স্টেশনের দূরত্ব বেশি। এখানে অন্যান্য যানবাহন পাওয়া যায় না। তাছাড়া সন্ধ্যে হয়ে গেলে শালিমার স্টেশনে অন্ধকার নেমে আসে। সেখানে আলোর অভাব রয়েছে। তাই এখানে দূরপাল্লার ট্রেন পাঠালে সমস্যা তৈরি হবে।
রেলকর্তারা অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ধাপে ধাপে পরিকল্পনা কার্যকর হতে চলেছে। হাওড়া স্টেশনে ট্রেনের চাপ যথেষ্ট বেশি। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো চালু হলে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে হাওড়ায়। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোয় ভিড়ের কথা ভেবে এখন থেকেই পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই সাঁতারাগাছি এবং শালিমার স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে।
এখানের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের বলে রেল সূত্রে খবর। বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ–ক্যাবের যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতে এবং জলপথে পরিবহণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত যাত্রীরা কতটা সুবিধা পায় এখানে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে এসে।