শনিবার কুম্ভমেলায় যোগ দিতে গিয়ে নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার আসানসোল স্টেশনেও বিশৃঙ্খলা অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কার্যত পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনার পরেই যাত্রীদের নিরাপত্তায় আসানসোল স্টেশনে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে রেল। উল্লেখ্য, প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে আসানসোল থেকে মঙ্গলবার একটি বিশেষ ট্রেন ছেড়েছে এবং অপর বিশেষ ট্রেনটি ছাড়ার কথা রয়েছে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই লক্ষ্যেই আসানসোল স্টেশনে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে লাফ দিলেন মহিলা, আসানসোল স্টেশনে হইচই কাণ্ড
রবিবার আসানসোল স্টেশন পরিদর্শন করেছিলেন ডিআরএম চেতনানন্দ সিং। আর পরের দিন স্টেশন ঘুরে দেখেন ডিভিশনের এডিআরএম প্রবীণ কুমার প্রেম। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভিড় নিয়ন্ত্রণে একাধিক সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্টেশনে অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের ভিড় এড়াতে ঢোকা এবং বাইরে বেরোনোর আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের থাকার জন্য স্টেশন চত্বরে অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে যেন অসংখ্য যাত্রী একসঙ্গে ঢুকে পড়তে না পারেন তার জন্যই আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই দুটি বিশেষ ট্রেন ছাড়াও তিন দিন সপ্তাহিক ট্রেন চলবে। সেগুলি হল-আসানসোল–আমেদাবাদ, আসানসোল–মুম্বই ও তারকনাথ এক্সপ্রেস। এগুলি সবই প্রয়াগরাজ হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, রবিবার যাত্রীদের পার্সেল ভ্যানের রাস্তা ধরে যাত্রীদের ঢোকানো হয়েছিল। তবে এখন স্টেশনের মূল গেট লাগোয়া সামনের অংশে অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের জমায়েত করা হচ্ছে। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে দফায় দফায় যাত্রীদের প্লাটফর্মে ঢোকানো হচ্ছে। প্রতি দফায় সর্বোচ্চ ১৫০ জন যাত্রী ঢুকতে পারছেন। যাত্রীদের বসার জন্য অস্থায়ী ছাউনিতে জল এবং বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সাধারণত হাওড়া, শিয়ালদা বা কলকাতা থেকে যে সব ট্রেন প্রয়াগরাজে যাচ্ছে সেগুলিতে চড়ার জন্য আসানসোল থেকে খুব একটা ভিড় হচ্ছে না। তবে আসানসোল থেকে যে সমস্ত ট্রেনগুলি যাচ্ছে সেগুলিতে ভিড় হচ্ছে। এই অবস্থায় আসানসোল থেকে আরও বেশ কিছু ট্রেন চেয়েছেন আধিকারিকরা। এছাড়াও বেশি সংখ্যা আরপিএফ এবং রেল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে রানিগঞ্জে শুরু হচ্ছে পিরের মেল চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে ভিড় বাড়তে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানান, বর্ধমান-সহ নানা বড় স্টেশনে আরপিএফের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।