দলের গোষ্ঠীকোন্দলে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূলকর্মী ও তাঁর বাবা। বুধবার রাতে রায়নার শুকুরবাজার এলাকায় ঘটনা ঘটে। তৃণমূলকর্মী মৃগাঙ্ক সিংহ ও তাঁর বাবা বাদল সিংহের পায়ে গুলি লাগে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে এই ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে বর্ধমান থেকে ফেরার সময় মৃগাঙ্কবাবুর মোটরসাইকেল আটকায় কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। সেখানে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মোটরসাইকেল থেকে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর রায়না থানায় চিকিৎসা করান মৃগাঙ্কবাবু। এর পর রায়না থানায় অভিযোগ জানান তিনি। রাতে বাবার সঙ্গে রায়নার শুকুরবাজারে আসেন ওষুধ কিনতে। সেখানে ফের দুষ্কৃতীরা তাঁদের ঘিরে ধরে গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। বাবা ও ছেলেকে লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর পর এলাকা ছেড়ে পালায় তারা। দুজনেরই গুলি লাগে পায়ে।
এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দের কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। তবে ঘটনায় তাঁর যোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনও বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়না থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জনবহুল এলাকায় ভর সন্ধ্যায় গুলি চলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েক ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের এলাকা দখলের লড়াই ততই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। যা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তাঁদের পরিবারের প্রবীণ সদস্যরাও।