বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পুরনো আক্রোশের জেরে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা, DG-র কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজভবন

পুরনো আক্রোশের জেরে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা, DG-র কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজভবন

চাকদহ থানা। ফাইল ছবি।

রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চিঠিতে তিনি ডিজিকে জানিয়েছেন, ‘পুলিশ, মাফিয়া এবং রাজনৈতিক নেতাদের সম্মিলিত সন্ত্রাসের হাত থেকে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাসকে বাঁচাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।’

কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল রাজভবন। গত মাসের শেষ সপ্তাহে মুকুল বিশ্বাস নামে কলকাতা হাইকোর্টের ওই আইনজীবী চকদহের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার এই মর্মে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপালের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি উৎপল বিশ্বাস। পাশাপশি এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্টও জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চিঠিতে তিনি ডিজিকে জানিয়েছেন, ‘পুলিশ, মাফিয়া এবং রাজনৈতিক নেতাদের সম্মিলিত সন্ত্রাসের হাত থেকে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাসকে বাঁচাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।’ উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজভবনের এই চিঠির পরদিনই গতকাল রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সায়ক দাসকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসের শেষের দিকে ওই আইনজীবীর বাড়িতে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। আইনজীবীর অভিযোগ, হাইকোর্টের একটি মামলাকে কেন্দ্র করে তাঁর বাড়ি,গাড়ি, জিম ভেঙে দেওয়া হয় । স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। এমনকি পুলিশও তাদের সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ। এরপর ভাঙচুরের মধ্যেই আইনজীবীর নামে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইপো। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হামলা চলাকালীনই আক্রান্ত আইনজীবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

চলতি সপ্তাহে রাজ্যপালের কাছে বিস্তারিত অভিযোগ লিখিতভাবে জানান মুকুল বিশ্বাস। তিনি জানান, কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর একটি মামলার ভিত্তিতে চাকদহ থানার মেজবাবু এবং পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই দু’মাস জেলে ছিলেন। অভিযোগ, পুরনো আক্রোশের জেরে তারপর থেকে তাঁকে একের পর এক মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। তাঁর চেম্বার ও বাড়িতে হামলা বারবার চালানো হচ্ছে। ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে উলটে তাঁকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, পুরো ঘটনার সময় পুলিশ সুপার নিজে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজভবনের হস্তক্ষেপের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বদলি করে দেওয়া হয় জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাসকে। মাত্র নয় মাস আগে তাঁকে এই পদে আনা হয়েছিল। ফলে এই ঘটনার জেরেই পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে বলে আইনজীবীর দাবি। আপাতত তাঁকে সিআইডিতে পাঠানো হল বলে জানা গিয়েছে। আইনজীবী বলেন, ‘কোনও দল বা নেতা নয়, সংবিধান শেষ কথা বলবে। যে পুলিশ অফিসাররা আইন ভেঙে দলের দাস হিসেবে কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

বন্ধ করুন