বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে ভরাডুবির পর ফের একবার তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরে মুকুল রায়ের স্ত্রীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। এদিন রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা না বললেও ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নিজের নীরবতার ব্যাখ্যা দেন রাজীব। বলেন, ‘রাজনীতিতে কখনও কখনও চুপ থাকতে হয়।’
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় গত ৬ জুলাই চেন্নাইয়ে মৃত্যু হয় মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। সেখানে হাজির হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত নেতামন্ত্রীদের মধ্যে দেখা মেলে রাজীবাবুরও। যাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই চলছে জোর চর্চা।
এদিন তাঁর উপস্থিতির সঙ্গে অবশ্য রাজনীতির যোগ মানতে রাজি হননি রাজীব। তিনি বলেন, ‘মুকুলদাকে অনেকদিন চিনি। বউদির সঙ্গেও পরিচয় ছিল। অনেক কথা হয়েছে। ওনার অসুস্থতার সময় হাসপাতালে গিয়েছি। আজ এখানে এসেছি তাঁর আত্মার শান্তি কামনায়।’
সঙ্গে রাজীববাবু দাবি করেন, ‘আজ রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।’ নিজের নীরবতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে কখনো কখনো চুপ থাকতে হয়।’
এদিন মুকুল রায়ের বাড়িতে রাজীব, সব্যসাচী, সুনীল সিংয়ের উপস্থিতিকে অবশ্য রাজনীতির চশমা দিয়ে দেখতে নারাজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যে কেউ যেতে পারে। এই সব বিধি নিষেধ সিপিএম আরোপ করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জুতোতে পা গলিয়েছেন। আমরা সব কিছুতে রাজনীতি খোঁজার বিরুদ্ধে।’