শনিবারই ফোঁস করেছিলেন। পরদিন সকালেই উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পড়ল পোস্টার এবং ফ্লেক্স।
রবিবার সকালে শ্যামবাজার, কাঁকুড়গাছি, শোভাবাজার, উল্টোডাঙা-সহ বিভিন্ন জায়গায় সেই পোস্টার লাগানো হয়েছে। এমন জায়গায় সেই পোস্টার এবং ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে, তা ভালোভাবেই আমজনতার চোখে পড়বে। শ্যামবাজার মোড়ের কমপক্ষে ১০ টি জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনেও পোস্টার পড়েছিল। কোনও পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘ছাত্র যুবর নয়নের মনি (মণি)’, কোথাও লেখা আছে ‘সততার প্রতীক’, ‘কাজের মানুষ কাছের মানুষ’।
তবে শুভেন্দু অধিকারীর মতো সেই পোস্টারের নেপথ্যে ‘দাদার অনুগামী’-রা ছিলেন না, বরং কোথাও পোস্টার দেওয়া হয়েছে ‘উত্তর কলকাতা স্পোর্টস লাভার এ্যাসোসিয়েশন’ নামে। কোথাও আবার পোস্টার দিয়েছে 'উত্তর কলকাতা উন্নয়ন পরিষদ’।
সেই পোস্টারের পরই স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শনিবারই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজীব। 'অরাজনৈতিক' অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নাম না করেই তৃণমূল এবং দলের নেতৃত্বকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন। আক্ষেপ করেছিলেনন, স্তাবকতা করলেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়। সেজন্যই তাঁর নম্বর কম। বলেন, ‘এখন হচ্ছে, স্তাবকতার যুগ। অর্থাৎ আমি ভালো বললে ভালো বলতে হবে। আমি খারাপ বললে খারাপ বলতে হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র হ্যাঁ’তে হ্যাঁ, না'তে না - এটুকু বলতে পারলেই তুমি ভালো। নয়তো তুমি খারাপ। আজ আমরা এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এগুলি মানুষ পছন্দ করেন না।'
‘বেসুরো’ রাজীবের সেই মন্তব্যে স্বভাবতই গুঞ্জন শুরু হয়। সাংবাদিকদের সামনে এখনও রাজ্যের মন্ত্রী পদে আছেন এবং তৃণমূলেই আছেন বললেও জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি এবার বিজেপির পথে যাচ্ছেন রাজীব? তারইমধ্যে উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় রাজীবের পোস্টারে কানাঘুষো আরও বেড়েছে।
তারইমধ্যে নাম না করে রাজীবকে তোপ দেগেছেন অরূপ রায়। যিনি ‘রাজীব-বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। কিছু কাছ না করে বড় বড় কথা। যে দুর্নীতি করছেন, তিনি বড় ববড় কথা বলছেন। চালুনি ছুঁচের বিচার করে।’