চিন বারবার কথার খেলাপ করছে। ভারতও যোগ্য জবাব দিচ্ছে। কিন্তু তাতে সীমান্তে শান্তি ফিরছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইট করলেন, ‘দার্জিলিং যাচ্ছি।’ দু’দিনের সফর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ–সিকিমে। দু’দিনের সফরে দার্জিলিং–সিকিম সংলগ্ন সীমান্ত ব্যবস্থা ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মনোবল বাড়াবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
রাজনাথ আরও জানান, সীমান্তে যাবেন। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের (বিআরও) তৈরি এক রাস্তার উদ্বোধনও করবেন। ভুটান লাগোয়া চিন সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে সুকনা কর্পস। শনিবার সুকনা কর্পসের জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সীমান্তে ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এই সীমান্ত দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন এখান দিয়ে সেনা ঢুকিয়ে দিতে পারে। কারণ লাদাখে তারা বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। শীতে তারা আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিকিমে ভারত–চিন সীমান্ত এলাকায় এবার দশেরা পালন করবেন রাজনাথ সিং। রবিবার দার্জিলিঙে সুকনা ওয়্যার মেমোরিয়ালে শস্ত্র পুজো করেন। প্রতি বছর দশেরাতে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজনাথ। ২০১৯ সালে ফ্রান্সে থাকাকালীন শস্ত্র পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। লাদাখে উত্তেজনার মধ্যেই এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যাচ্ছেন রাজনাথ। তাই এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, সীমান্তজুড়ে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেজিং। চিনের সেনার অবস্থানের বদলও ঘটাতে চাইছে চিন। তিব্বতে অধিকৃত আকসাই চিন সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে বেজিং। আকসাই চিনের পাশাপাশি, ঝিংজিয়াং সীমান্তেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। লাদাখের ১,৫৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে যে এই শীতে সরছে না চিন। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানতে পেরেছে, আকসাই চিনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চিন। সূত্রের খবর, প্রায় ৩ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে চলছে নির্মাণ। যার অর্থ প্রায় চারটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা। গোগরা হটস্প্রিং এলাকার সমান্তরালে নির্মাণ চালাচ্ছে চিন।