কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা-র খুনের জন্য ঝাড়খণ্ড থেকে পেশাদার দুষ্কৃতীদের ভাড়া করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে তদন্তকারী দলের সদস্যরা পড়শি রাজ্যে যেতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ঘটনার রহস্যভেদ করতে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশেও যেতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে আততায়ী যুবকদের পরনে হলুদ ও কালো রঙের জামা ছিল। সেই সব সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এদিকে সাম্প্রতিককালে আসানসোলের হোটেল ব্যবসায়ী অরবিন্দ ভগত সহ একাধিক খুনে উত্তরপ্রদেশ থেকে সুপারি কিলার ভাড়া করা হয়েছিল। এই আবহে রাজুকাণ্ডেও উত্তরপ্রদেশের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: কেন্দ্রের সমান ডিএ এই রাজ্যে, 'এগিয়ে বাংলা...', শুভেচ্ছা বার্তা শুভেন্দুর)
এদিকে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাজু ছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফের গাড়িতে। লতিফ নিজেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। শক্তিগড়ে এক ল্যাংচার দোকানের সামনে গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। চালক সেই সময় বেরিয়ে কোথাও একটা গিয়েছিলেন। আর তখনই নীল গাড়িতে এসে ১৩ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঝাঁঝরা হয়ে যায় রাজুর দেহ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে সাদা ফরচুনা (WB 48D 7032) গাড়িটি রাজু ছিলেন, তা আদতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তথা গরুপাচার মামলায় 'ফেরার' আব্দুল লতিফ ওরফে হিঙ্গুর শেখের। এই আবহে পুলিশের এই মামলার 'মিসিং লিঙ্কে'র খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রেশন তোলার নিয়মে 'আমূল পরিবর্তন', রাজ্য সরকারকে 'বাইপাস' করে কী জানাল কেন্দ্র?
ইতিমধ্যে, ফরচুনার চালক শেখ নূরকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে জানা গিয়েছে, যে ফরচুনায় রাজুকে খুন করা হয়, সেটি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে কেনা হয়েছিল। গাড়িটি ছিল লতিফের নামে। প্রশ্ন উঠেছে, রাজুর নিজের গাড়ি থাকা সত্ত্বেও লতিফের গাড়িতে কেন তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন? প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে একটা ল্যাংচার দোকানের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলন কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছিলেন রাজুর অপর সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্য়ায়। তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, শুটআউটের আগেই গাড়ির ড্রাইভার ও অন্য একজন গাড়ি থেকে নেমে বাইরে চলে গিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি গরু পাচারকারী আব্দুল লতিফ বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি এখনও।