রামপুরহাটের বগটুইতে গ্রামবাসীদের পুড়িয়ে মারার ঘটনার তদন্তে তত্পর পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই দুপুরে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গছন করেছেন। সেই দলই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িয়ে থাকা সন্দেহে এখনও পর্যন্ত মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব খাড়া করলেও খোদ পুলিশের ডিজি তা মানতে নারাজ। কার্যত তদন্ত শুরুর আগেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিচালক মনোজ মালব্য মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘এটা দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল। এর জেরেই ভাদু শেখকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা জড়িত ছিল না।’ এদিকে এর আগে তো অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন যে শর্ট সার্কিট থেকে টিভিতে আগুন লেগেই নাকি কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগে। তবে ঘটনাস্থলে সিট-এর তদন্তকারীরা গিয়ে অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন যে বাড়িগুলিতে আগুন লাগানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, সোমবার রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন দুষ্কৃতীদের বোমা হামলায়। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই গ্রামের পরিস্থিতি। এরপরই সোমবার রাতে সেই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনায় দমকল প্রাথমিক ভাবে বলে যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে ৭ জনের মৃতদেহ মিলেছে। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের তরফে ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। শেষ পর্যন্ত বিকেলে পুলিশ দাবি করে যেঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি, ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। রয়েছে দুই শিশুও।