মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার রামপুরহাট গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারাপীঠ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে পৌঁছে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্তদের পরিবারের তরফে তাঁর কাছে আনারুলের গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আনারুলকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে, নইলে গ্রেফতার করবে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে আনারুলের বাড়িতে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সেখানে মহিলা ও শিশুদের নীচের তলায় এনে গোটা বাড়ি প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় তারা। ওদিকে বাড়ির বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আনারুলের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, আনারুলকে ফাঁসিয়েছে অনুব্রত মণ্ডল।
এরই মধ্যে হেলিকপ্টারে রামপুরহাট ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যে তারাপীঠে একটি হোটেলের কাছ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পেশায় রাজমিস্ত্রি আনারুল ২০১১ সাল থেকে ঠিকাদারি শুরু করেন। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক উত্থান। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি নিযুক্ত হন তিনি।
আনারুলের অনুগামীদের দাবি, তাঁকে ফাঁসিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ভাদু শেখ খুনের দিন হাসপাতাল আর থানায় গিয়েছিলেন আনারুল। বাগটুই গ্রামে সোনা শেখের বাড়ির ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি তাঁকে। সেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে ভাদু শেখের অনুগামীরাই। ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা হাজির ছিলেন বলে জানিয়েছেন সোনা শেখের পরিজনরা। তাহলে আনারুলের ভূমিকা কী?