এবার রামপুরহাটে এক গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের রামপুরহাট এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত যুবক ওই বাড়ি কখন ফাঁকা থাকে তা কদিন ধরে লক্ষ রেখেছিল। তারপর জল তেষ্টা পেয়েছে বলে ওই বাড়ির বধূর কাছে জল চায়। পানীয় জল দিতে বাড়ির দরজা খুলতেই ওই যুবক বধূর মুখ চেপে ধরে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। তারপর মুখে সেলোটেপ আটকে দিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বীরভূমের রামপুরহাট থানা এলাকায় এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা হচ্ছে। তবে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। তার কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্ত যুবক পথেঘাটে মেয়েদের কটূ মন্তব্য করত। তা নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছে। স্কুল–কলেজ ছাত্রীদের জামা ধরে টানার অভিযোগ আছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ওই অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি রামপুরহাটেই। আর নির্যাতিতা গৃহবধূর বাড়িও একই থানা এলাকায়। তাই ওই অভিযুক্ত যুবক কদিন ধরে এখানে ঘোরা ফেরা করছিল। তারপর বাড়ি ফাঁকা দেখে ওই বধূর কাছে জল পান করতে চায় অভিযুক্ত যুবক। সরল মনে দরজা খুলে জল দিতে যায় ওই বধূ। তখনই ঘরে ঢুকিয়ে মুখে সেলোটেপ আটকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতার বাড়ির সদস্যরা এবং গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও।
আরও পড়ুন: তারকেশ্বরে আলু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব স্থানীয়রা
এই ঘটনার পর নির্যাতিতার অভিযোগ, শনিবার তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। হঠাৎ তাঁর বাড়িতে গরমে জল তেষ্টা পেয়েছে বলে কড়া নাড়ে অভিযুক্ত যুবক। আর পানীয় জল দিতে গেলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই যুবক। মুখে সেলোটেপ আটকে দিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তাই কোনও আওয়াজ বেরিয়ে আসেনি। পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন সকলে। তাঁদেরকে সবটা খুলে বলে দেন ওই বধূ। রাতেই ওই যুবকের নামে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর ওই অভিযোগ পেতেই রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ইতিমধ্য়েই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বধূর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে এলেই আইনি প্রক্রিয়া চালু হবে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। তার নামে আগেও অভিযোগ উঠেছিল। আগে পাড়ার বাইরে এসব করত বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। এবার পাড়ার মধ্যেই বধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে। জল পান করার নাম করে যুবক বাড়িতে ঢোকে। দরজা খুলে পানীয় জল দিতে গেলে বধূকে টেনে বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। হাত–পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং মুখে সেলোটেপ আটকে দেয়। তারপর ধর্ষণ করে। পরে চিৎকার শুনে বাড়ির সদস্যরা প্রথমে ছুটে আসে। আর অভিযুক্ত যুবককে ধরেও ফেলে। তখন টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে প্রস্তাব দেয় ওই যুবক।