রামপুরহাট গণহত্যায় জোর কদমে চলছে তদন্ত। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরই বগটুইতে পৌঁছে যায় সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। বগটুই গ্রামে গিয়ে সোনা শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে হাঁসুয়া, শাবল। তল্লাশির সময় আধপোড়া মানব দেহাংশের নিচে থেকে উদ্ধার হয় এগুলি। এই অস্ত্রগুলি দিয়ে কাউকে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি একটি ফাঁকা জার মিলেছে সেই বাড়ি থেকে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই জারে কেরোসিন বা পেট্রল ছিল। যা দিয়ে বাড়ি পোড়ানো হয়ে থাকতে পারে।
প্রাথমিক অনুমান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলি দিয়ে দরজা ভাঙা হয়েছিল। তবে তদন্তকারীরা এও মনে করছেন যে বাড়িতে আগুন লাগানোর আগে এই অস্ত্রগুলি দিয়ে বাড়ির মহিলাদের উপর চড়াও হয়ে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। তবে এই অনুমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্তকারীরা চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলছেন। এছাড়া হাসপাতালে গিয়ে ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান রেকর্ড করেন তাঁরা। বিকেলে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে জেরা করা হয় আনারুল হোসেনসহ ৪ জন অভিযুক্তকে। এদিকে উদ্ধার হওয়া জারটিও তদন্তের খাতিরে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে চলেছে বলে করছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, রাজ্য ফরেন্সিক দলও এই জার থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বগটুই গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হয়েছিলেন বোমা হামলায়। এরপরই সেই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় সোনা শেখ এবং আরও বেশ কয়েকজনের বাড়ির উপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া বাড়িগুলিতে। এর মধ্যে সোনা শেখের বাড়িতে বেশ কয়েকজন মহিলা ও শিশুসহ মোট সাত জন পুড়ে মারা যায়।