বগটুইকাণ্ডের তদন্তে স্বজনহারাদের বয়ানের উপর জোর দিচ্ছে সিবিআই। এই আবহে মিহিলাল ও শেখলালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল মঙ্গলবার। এছাড়া রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে ডাকা হয়েছিল সাসপেন্ড হওয়া আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককেও। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিভিন্ন তরফের দাবির সত্যতা যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
মঙ্গলবার প্রথমে মিহিলালের বয়ান রেকর্ড করা হয় রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে। এরপর তাঁকে কুমাড্ডা গ্রামে নিয়ে গিয়ে শেখলালের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার মৃত্যু হয় শেখলালের স্ত্রী নাজমা বিবির। অপরদিকে ঘটনার পরেই শেখলাল বগটুই ছেড়ে কুমাড্ডা গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। আপাতত সেখানেই আছেন তিনি। শেখলাল এদিন সিবিআই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেন তাঁর মোবাইলে তোলা কিছু ছবি। শেখলালের দাবি, ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাঁর বাড়ি পুড়ছে, পুলিশ পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছে।
এদিকে ঘটনায় ধৃত আনারুল এর আগে দাবি করেছিল যে মৃত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে নিয়ে প্রথমে হাসপাতালে যান। পরে তিনি থানায় যান। তাঁর বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর জন্য থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবার করা হয় সাসপেন্ডেড আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, আনারুল পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেয়। এই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।