বগটুইকাণ্ডে অপরাধীদের ধরতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো রামপুরহাটে অস্থায়ী ক্যাম্পে ঘাঁটি গেড়ে বসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। দ্রুত গতিতে তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁরা। সংগ্রহ করছেন তথ্য। রেকর্ড করছেন বহু মানুষের জবানবন্দি। এই আবহে এবার সিবিআই এবার দাবি করল, শেখলাল শেখের মৃত স্ত্রী নাজিমা বিবির মৃত্যকালীন জবানবন্দির সাহায্যেই তাঁরা অপরাধীদের শনাক্ত করে কড়া সাজা দেওয়ার পথ প্রসারিত করতে পারবেন। চিকিৎসক এবং নাজিমার স্বামী শেখলাল শেখের উপস্থিতিতে নাজিমার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন সিবিআই তদন্তকারীরা।
শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে হয় নাজিমাকে। এই সময় ২৫ মার্চ থেকে প্রতিদিন সিবিআইয়ের কোনও না কোনও তদন্তকারী নাজিমার সঙ্গে গিয়ে দেখা করে আসতেন। এই আবহে যন্ত্রণা চেপে রেখেই তদন্তকারীদের কোনওভাবে নিজের বয়ান দিয়েছিলেন নাজিমা। সেই বয়ানই এখন ‘হাতিয়ার’ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের কাছে।
এদিকে মিহিলাল ও শেখলালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মঙ্গলবার। এছাড়া রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে ডাকা হয়েছিল সাসপেন্ড হওয়া আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককেও। পাশাপাশি থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিভিন্ন তরফের দাবির সত্যতা যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার প্রথমে মিহিলালের বয়ান রেকর্ড করা হয় রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে। এরপর তাঁকে কুমাড্ডা গ্রামে নিয়ে গিয়ে শেখলালের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার মৃত্যু হয় শেখলালের স্ত্রী নাজমা বিবির। অপরদিকে ঘটনার পরেই শেখলাল বগটুই ছেড়ে কুমাড্ডা গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। আপাতত সেখানেই আছেন তিনি। শেখলাল এদিন সিবিআই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেন তাঁর মোবাইলে তোলা কিছু ছবি। শেখলালের দাবি, ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাঁর বাড়ি পুড়ছে, পুলিশ পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছে।