দুই ছেলেই ছিলেন তৃণমূলে। দুই ছেলেকেই হারিয়েছেন তিনি। তিনি খুন হওয়া তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের বাবা। ভাদুর মতোই ছোট ছেলে বাবর শেখকেও খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে একেবারে গুটিয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধ মারফত হোসেন। গোটা ঘটনায় একেবারে ভেঙে পড়েছেন। ঘটনার পরেই বাড়ি ছেড়েছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে আসবেন একথা চাউড় হতেই তাঁকে এদিন গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি কিছুটা খোলাখুলিভাবেই উত্তর দিলেন।
ধীর পায়ে বাড়ির দিকে এগোচ্ছিলেন বৃদ্ধ মারফত। সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি ভয় পাচ্ছেন? প্রশ্ন শুনে একটু থমকে যান তিনি। চারপাশটা একবার তাকিয়ে দেখে নেন। এরপর বলেন, ‘বাঘের দেশে ভয় পাব না?’ কিন্তু কেন খুন করা হল ছেলে ভাদুকে? ‘বখরার জন্যই খুন করা হয়েছে। যারা বখরা পায়নি তারাই মারল’ একেবারে বিস্ফোরক দাবি বগটুইয়ের একসময়ের বেতাজ বাদশা ভাদু শেখের বাবার। কিন্তু কীসের বখরা? কীসের ইঙ্গিত দিতে চাইছেন তিনি? ‘পঞ্চায়েতের টাকা, চাল নিয়ে গন্ডগোল।’ দাবি ভাদু শেখের বাবার।
কিন্তু কোন দলের লোকজন এই খুন করল? জবাব আসে, ‘একটাই তো দল সিপিএম।’ ভাদুর বাবার মুখে সিপিএমের নাম শুনে প্রমাদ গোণেন অনেকেই। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ভুল ভাঙে বৃদ্ধের তিনি। বলেন, ‘সিপিএম নয়। সব গুলিয়ে যাচ্ছে। দল তো একটাই। তৃণমূল পার্টি।’ দাবি মৃত ভাদুর বৃদ্ধ বাবার। এদিকে ভাদুর স্ত্রীও আগেই তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চামচারাই এর পেছনে দায়ী।