কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে ষষ্ঠবার জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। বুধবার ভবানী ভবনে চার ঘণ্টা ধরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়।
গত বছর ৯ ফেব্রয়ারি নদিয়ার হাঁসখালিতে বাড়ির কাছেই খুন হয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা তৎকালীন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি। খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করেছিল আততায়ীরা। দিন দশেকের মধ্যে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবমিলিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিআইডি। ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়েরও। তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
খুনের মাসখানেকের মধ্যে বিজেপির তৎকালীন দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি তথা বর্তমানে রানাঘাটের সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সিআইডি। কিন্তু দলের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে গত বছরের ১ মার্চ ভবানী ভবনে অনুপস্থিত ছিলেন। সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এবং রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। দিনকয়েক পর সেখানেই জগন্নাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিআইডি। ভবানী ভবন দাবি করেছিল, মূল অভিযুক্তের মোবাইলের কল লিস্টে জগন্নাথের নাম পাওয়া গিয়েছে। খুনের আগে এবং পরে একাধিকবার তাঁরা ফোন কথাও বলেছিলেন। খুনের দু'দিন পরও জগন্নাথকে ফোন করেছিলেন পালিয়ে বেড়ানো অভিজিৎ।
ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন রানাঘাটের সাংসদ। গত মার্চে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে তদন্তে সহযোগিতারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এরপর বুধবার তাঁকে ফের ডেকেছিল সিআইডি। সূত্রের খবর, খুনের পর আততায়ীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন কিনা, তাঁর সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা নিয়ে বিজেপি সাংসদকে প্রশ্ন করা হয়েছে। যদিও বিজেপি সাংসদের দাবি, তাঁকে নতুন কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ভয় দেখাতে তাঁকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভবানী ভবন। সিআইডি জানিয়েছে, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই জগন্নাথকে ডাকা হয়েছিল।