২০২০ সালের জুন মাসে রানাঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল এক নাবালিকা ধর্ষণের। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুকুমার বিশ্বাস। তবে মামলাকারী ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যান মামলা চলাকালীন। এই আবহে বিচার থমকে ছিল। তবে সম্প্রতি অনলাইনেই নির্যাতিতা নাবালিকা সাক্ষ্য দিয়েছে। আর তার ভিত্তিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সুকুমার। তাকে ৭ বছরের সাজা শুনিয়েছে রানাঘাট আদালত। রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতা এবং পরিবারের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এই ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সুকুমার। জানা গিয়েছে, রানাঘাট আদালতের রায় শুনে ভিডিয়ো কলে কেঁদে ফেলেছিল নির্যাতিতা। (আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে বিস্ফোরক ED, কে কত কোটি দিয়েছে?)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে 'ঝড়ের' মাঝেই বাংলায় এলেন অমিত শাহ, কী কর্মসূচি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর?
আরও পড়ুন: 'সংখ্যাগুরু' বিতর্কে এবার ফিরহাদের জবাব - 'আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথানত নয়'
২০২০ সালে এই ঘটনার সময় নির্যাতিতার বয়স ছিল ১০ বছর। বর্তমানে সে বাংলাদেশেই থাকে পরিবারের সাথে। এর জেরে মামলায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এই জট ছাড়াতে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কুমার সানি রাজ নিজে উদ্যোগী হয়েছিলেন বলে জানা যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন বাংলাদেশের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁর সাহায্যে বাংলাদেশে থাকা নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ৷ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষী দেয় নির্যাতিতা ও তার পরিবার। গত ১৪ এবং ২৮ অগস্ট ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। আর গত মঙ্গলবার এই মামলার রায় শোনায় আদালত। (আরও পড়ুন: সাসপেনশন উঠেছে ফের সাসপেন্ড হবেন বলে! তন্ময়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে সিপিএম)
আরও পড়ুন: উপকূল ঘেঁষে বাঁক নিম্নচাপের, আজ থেকে বৃষ্টি বঙ্গে, তারপর হু হু করে পড়বে ঠান্ডা?
আরও পড়ুন: প্রবাসী ভারতীয়রা দেশে যত টাকা পাঠান, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মিলিত বাজেটের তা...
প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালের ২০ জুন রানাঘাটের একটি গ্রামে বছর দশের বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত সুকুমার গ্রেফতার হতেই নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই আবহে নির্যাতিতাকে নিয়ে পরিবার বাংলাদেশে চলে যায়। এরই মধ্যে মামলা আটকে যায়। তবে সেই মামলার শুনানি সম্পন্ন হয়। মোট ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছে এই মামলায়। এদিকে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। জমি নিয়ে একটি বিবাদের কারণে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর দাবি, ৬ নম্বর ধারায় চার্জ গঠন হলেও সুকুমার দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ১০ নম্বর ধারায়। এই আবহে আগামিদিনে রানাঘাট আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুকুমারের আইনজীবী।