ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। তাঁর বিরুদ্ধে এক আদিবাসী নির্যাতিতার পাশে না দাঁড়িয়ে অভিযুক্ত বিজেপি ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীকে আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং স্থানীয় সাংসদের কাছ থেকে সাহায্য না পেয়ে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বানারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ডুয়ার্সের ওই নির্যাতিতা আদিবাসী যুবতী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকী বিচার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ কোনও সাহায্য করেননি বলেও অভিযোগ।
এদিকে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, পুর্বের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে বহবার তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় জয়চাঁদ আগরওয়াল। বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে ডুয়ার্সে পরিচিত সে। নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে তিনি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার কাছে যান। কিন্তু সাহায্য করার পরিবর্তে ব্যবসায়ীকেই সাংসদ আড়াল করেন বলে অভিযোগ তাঁর। তখন পুলিশের দারস্থ হন তিনি।
জন বারলার এই ভূমিকায় রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান, বানারহাটের বাসিন্দা যুবতী অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ–সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংসদের কাছে সাহায্যের আশার নির্যাতিতা গোটা ঘটনা খুলে বলেছিলেন। নির্যাতিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। নির্যাতিতার জবানবন্দি নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সাংসদকেও জেরা করা হতে পারে।
জমি কেলেঙ্কারি, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বলে আগেই বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তিনি। এবার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলার বিরুদ্ধে ধর্ষণে অভিযুক্তকে আড়াল করার অভিযোগ ওঠায় আরও অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ত্রিশের ওই নির্যাতিতা অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তাঁকে ধর্ষণ করেছে। আর বিয়ের কথা বলতেই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। এই ব্যবসায়ীর স্টোনচিপসের ব্যবসা করেন। এমনকী একটি স্কুলও রয়েছে তাঁর।