এবার থেকে বেসরকারি ল্যাবেও করানো যাবে করোনা পরীক্ষা। এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সব ল্যাবরেটরিতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো যাবে।বিশেষজ্ঞরাও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।এর ফলে দ্রুত করোনা রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।
আগে শুধুমাত্র সরকারি ক্ষেত্রেই এই পরীক্ষা করানো হত। এবার স্বাস্থ্য দফতরের জানানো হয়েছে, এবার থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রেও এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো যাবে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে পজিটিভ এলে তাহলে তো কোনও কথাই নেই, করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা শুরু হয়ে যাবে। আর যদি নেগেটিভ আসে, তাহলে চিকিৎসকরা আরটি–পিসিআর টেস্ট করিয়ে নিতে পারবেন।এর ফলে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে সময় বেঁচে যাবে।র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে সময় লাগে ৩০ মিনিট। সেখানে আরটি–পিসিআর টেস্টে সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টার কাছাকাছি।যেখানে প্রতিদিন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বেসরকারি ল্যাবে করলে সরকারি ক্ষেত্রের উপর চাপ অনেকটাই কমে আসবে।
গত কয়েকদিন ধরেই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা ছাড়াও প্রাক্তন সরকারি চিকিৎসকরাও দাবি করে আসছিলেন, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট যাতে বেসরকারি সংস্থায় করানো হয়। এবার তাঁদের দাবি মতোই স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনের প্যাথোলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ‘এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত।’ পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিকের কথায়,‘রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেবে।’