‘সপ্তাহখানেক আগে রাজ্যপুলিশ ও আমাদের বিচারব্যবস্থা জয়নগরের নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ৬২দিনের মাথায় ফাঁসির নির্দেশকে নিশ্চিত করেছিল। আজ ফরাক্কায় ১৩ অক্টোবর হওয়া অপর এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। অপর অভিযুক্তের যাবজ্জীবন হয়েছে।’
‘আমি আগেও বলেছি,আবারও বলব, প্রতিটি ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তি হওয়া দরকার, সেটা হল ফাঁসি।সমাজের সকলের এনিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার এই ঘৃণ্য সামাজিক ব্যধি যাতে দূর হয়। আমি বিশ্বাস করি দ্রুত, সময় ধরে ট্রায়াল ও শাস্তি একটা বার্তা দেয় যে এই ধরনের অপরাধকে মানা হবে না। ’ লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
‘আমি রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, এই বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাঁদেরও, নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আমি থাকছি।’ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।
জয়নগরের পর এবার ফরাক্কা। তদন্ত শেষ করে দ্রুত অর্থাৎ প্রায় দুই মাসের (৬১ দিন) মধ্যেই এই ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে কঠোরতম সাজা শোনাল আদালত।
ফরাক্কায় নাবালিকার খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল দোষী ৩৫ বছর বয়সি দীনবন্ধু হালদারকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। একইসঙ্গে, এই পৈশাচিক অপরাধে দীনবন্ধুর সঙ্গী ২৩ বছরের শুভজিৎ হালদারকেও যাবজ্জীবন কারাবাসেই কাটাতে হবে।
পুজো উপলক্ষে ফরাক্কায় মামার বাড়ি এসেছিল ওই কিশোরী। দশমীর সকালে মেয়েটি অন্য বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল। তখনই তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
রাজ্য পুলিশের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তিনি জানিয়েছেন, মূল দুই অপরাধী এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করলেও, তাতে লাভ হয়নি। তারা যে নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে ওই ঘরে ঢুকেছিল, সেটা স্থানীয় এক মহিলা দেখে ফেলেন। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে গোটা ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যায়।
অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ওই নাবালিকার উপর পৈশাচিক অত্যাচার করা হয়েছিল। মেঝেয় মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল মেয়েটিকে। যে কারণে তার গলার হার ভেঙে যায়! এমনকী, মৃত্যুর পরও নাবালিকার মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়! পুলিশের তরফেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তবে কঠোরতম শাস্তি অভিযুক্তের। একজনের ফাঁসি। আর অপরজনের যাবজ্জীবন কারাবাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে এই ঘটনায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আমি রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।