তৃণমূল কর্মীর লাথির চোটে কচুবনে পড়ে গিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তখন জয়প্রকাশ ছিলেন বিজেপি নেতা। গতকাল থেকে তিনি হয়েছেন তৃণমূলের। এই দলবদেলর খবর পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন তারিকুল ইসলাম। উল্লেখ্য এই তারিকুলেরই লাথি খেয়ে নদিয়ার থানারপাড়ায় রাস্তার ধারে এক কচুবনে পড়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই দিনটা ছিল ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর। আর ২০২২ সালের ৮ মার্চ সেই জয়প্রকাশ নাম লেখালেন তৃণমূলে। মাঝে অনেক কটা দিন চলে গেলেও কচুবনে জয়প্রকাশের পড়ে যাওয়া সেই দৃশ্য আজও টাটকা অনেকের মনে। আর যিনি লাথি মেরেছিলেন, তার কাছে সেই চিত্র কোনও দিনও ভোলা সম্ভব নয়। এখন সেই তারিকুলেরই নেতা হয়েছেন জয়প্রকাশ।
২০১৯ সালে নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেদিন ঝামেলার মাঝে বিএ পাশ, রগচটা তারিকুল লাথি চালিয়েছিলেন জয়প্রকাশের উপর। ছিটকে পড়েছিলেন জয়প্রকাশ। এহেন জয়প্রকাশের দলবদলের খবর শুনে অবাক হন তারিকুল। গলায় অবিশ্বাসের সুর, ‘উনি এখন আমাদের দলে? তাই নাকি!’ তবে ক্ষণিকের সেই ঘটনার কথা মনে পরলে আজও লজ্জা পান তারিকুল। সংবাদমাধ্যমকে তারিকুল সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কোনওদিন দেখা হলে তাঁকে অনুরোধ জানাব, যাতে এই সব ঘটনা তিনি আর মনে না রাখেন।’
এদিকে জয়প্রকাশ মজুমদারের দলবদল নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। তবে মুখে সে কথা বলতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। খাতায় কলমে বহিষ্কৃত থাকা জয়প্রকাশের গলায় অবশ্য বিজেপি বিরোধী সুর বহুদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল। বিধাননগর পুরভোটের পর সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তিনি। এরপর ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরও দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তবে এরই মাঝে গত পরশু বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যান্য বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের সাথে দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ। এরপর দিনই আচমকা ঘাসফুলে নাম লেখালেন তিনি।