বিরিয়ানি খেয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরে পেটখারাপ হচ্ছিল স্থানীয়দের। সেই খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুরসভা। আর তাতেই ভয়ঙ্কর তথ্য এল প্রকাশ্যে। বিরিয়ানির মধ্যে মেশানো হচ্ছিল গেঞ্জি রং করার রাসায়নিক। দোকানদারকে ৭০০ টাকা জরিমানা করে দোকান বন্ধ করে দিল কোন্নগর পুরসভা। ঘটনা হুগলির কোন্নগরের চলচ্চিত্রম মোড়ের।
আরও পড়ুন - পাচারের সময় নদিয়া সীমান্তে উদ্ধার আজব প্রাণী, জানেন এর নাম কী?
পড়তে থাকুন - অপেক্ষা আর কয়েক দিনের, ভারতের আরও ৬০০ কিমি কাছে চলে আসবে আফ্রিকা
হালে পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে উঠেছে বিরিয়ানির দোকান। কোন্নগরের চলচ্চিত্রম মোড়েও রয়েছে বিরিয়ানির দোকান। সেখানে একটি দোকান থেকে বিরিয়ানি খেয়ে পেট খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ করছিলেন শহরের বাসিন্দারা। সেই খবর পৌঁছয় পুরসভার আধিকারিকদের কানে। শুক্রবার দলবল নিয়ে অভিযানে নামেন তাঁরা। গোলাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরিয়ানির দোকানের ভিতরে পাওয়া যায় গেঞ্জি রং করার রাসায়নিকের প্যাকেট। যার গায়ে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘এই রং খাবারে মেশানোর জন্য নয়’।
বিরিয়ানিতে হলুদ রং করতে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানোর কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন। তাঁর দাবি, অন্যান্য সময় খাবার রংই মেশান বিরিয়ানিতে। সম্প্রতি সেই রং ফুরিয়ে যাওয়ায় হাতের কাছে থাকা রাসায়নিক মিশিয়েছেন তিনি। তবে এসব ছেঁদো যুক্তি মানেননি পুরসভার আধিকারিকরা। ৭০০ টাকা জরিমানা করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চলে এসেছেন তাঁরা।
স্থানীয় পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, ‘এই সব দোকানের কোনও লাইসেন্স নেই। এরা বাইরে থেকে এসে এখানে ব্যবসা করে। মানুষকে বিষ খাওয়াচ্ছিল। হাতে নাতে ধরেছি। এদের বিরুদ্ধে পুরসভার অভিযান জারি থাকবে।’
আরও পড়ুন - পদ হারিয়ে বেকায়দায় প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত, হতে পারে ২ বছরের জেল
চিকিৎসকরা বলছেন, খাবারে হলুদ রং করার জন্য যে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছিল তা যে কোনও দোকানে সহজেই পাওয়া যায়। এই রং শরীরে ঢুকলে ক্যান্সার হতে পারে। তাই রাস্তার পাশের যে কোনও দোকান থেকে খাবার কেনার আগে সাবধান থাকা উচিত। নইলে অজান্তেই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারেন ক্রেতারা।