মোটরসাইকেল চালাতে চালাতে পকেটে ফাটল মোবাইল ফোন। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন যুবক। বুধবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শান্তিপুর গ্রামের ঘটনা। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেও বৃহস্পতিবার সকালেও ঘটনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেননি যুবক কার্তিক দাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘটনা বিরল তবে অসম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কার্তিকবাবু যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তখনও তাঁর হাত – পা রীতিমতো কাঁপছে। তিনি বলেন, রাতে কাজ সেরে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ আমার পায়ের কাছে গরম অনুভব করি। তাকিয়ে দেখি প্যান্টের পকেট শুদ্ধ আমার Realme 6 ফোনটা জ্বলছে। ফোনটা পকেট থেকে বার করতে গিয়ে আমার হাত দগ্ধ হয়। স্থানীয়রাই উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমাকে ছুটি দিয়ে দেন চিকিৎসকরা।
কার্তিকবাবু বলেন, দেড় বছর আগে ফোনটা কিনি। আজ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। বুধবার রাতে ওই ঘটনার পর ফোনের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। কী ভাবে ব্র্যান্ডেড ফোন ফাটল জানি না। আরও বড় কোনও বিপদ হতে পারত। সেকথা ভেবে আমি আতঙ্কিত। তবে ফোনের প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরণের ঘটনা বিরল হলেও অসম্ভব নয়। ফোনের ব্যাটারিতে আগুন বা বিস্ফোরণ রুখতে একাধিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু পদ্ধতি মেনে ফোন ব্যবহার করা না হয়ে থাকলে সেই প্রযুক্তি কাজ না-ও করতে পারে। এজন্য ফোন ব্যবহারের বিধি সব সময় মেনে চলা উচিত।