মুখের সামনের অংশটা কেউ যেন থেঁতলে দিয়েছে। চারপাশে চাপ চাপ রক্ত পড়ে রয়েছে। মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের গেরগেন্ডা প্রাইমারি স্কুলের সামনে পড়েছিল চিতাবাঘটির দেহটি। কিন্তু মৃত চিতাবাঘটির মুখের কাছে এত রক্ত কীকরে এল তবে কী ধারালো কিছু দিয়ে কোপানো হয়েছিল চিতাবাঘটিকে। এনিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। জায়গাটি জলপাইগুড়ি বনবিভাগের অন্তর্গত দলগাঁও রেঞ্জের মধ্যে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাই বনদফতরে খবর দেন। বনদফতরের লোকজন এসে চিতাবাঘটির দেহ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সকালে কাজে যাওয়ার সময় চিতাবাঘের দেহটি দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর বনদফতরের কর্মীরা এসে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা , হয়তো রাতের অন্ধকারে রাস্তা পেরনোর সময় কোনওভাবে গাড়ি ধাক্কায় চিতাবাঘটি আহত হয়েছিল। তখনই চিতাবাঘটির মুখটি কোনওভাবে থেঁতলে যায়। তবে বনদফতর চিতাবাঘটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর এর আগেও ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছিল চিতাবাঘের মাথা কাটা দেহ। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। চলতি বছরে ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে চিতাবাঘের জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে এবার গেরগেন্ডা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘটিকে কেউ খুন করেছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে বনদফতর।