বিক্ষোভ-আন্দোলনের মাঝেই প্রাথমিকে কত শূন্যপদে নিয়োগ তা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগেই গত ২৯ সেপ্টেম্বর পর্ষদের তরফে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এ বার কোন জেলায় কত শূন্যপদ সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে পর্ষদের তরফে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১১হাজার ৭৬৫। ২০১৪ বা ২০১৭ সালে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ এবং যাঁরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই এই পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০১৬ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
কী ভাবে আবেদন?
পরীক্ষায় বসার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ২১ অক্টোবর শুক্রবার থেকেই অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। www.wbbpe.org ও wbbprimaryeducation.org এই ওয়েবসাইট দু'টি থেকে আবেদন করা যাবে।
আবেদনের ফি কত?
এই পরীক্ষায় বসার জন্য সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের আবেদনের ফি হিসাবে দিতে হবে ১৫০টাকা, ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ১০০টাকা, তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত প্রার্থীদের জন্য দিতে হবে ৫০টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবি নাকচ?
এই বিজ্ঞপ্তির জেরে স্পষ্ট হয়ে গেল, আন্দোলনকারীদের দাবি নাকচ করে দিল পর্ষদ। ২০১৪-র টেট পাশ চাকরি প্রার্থীদের দাবি ছিল তাঁর ইন্টারভিউতে পাশ করছেন, তাই আর তাঁরা পরীক্ষা দেবেন না। ২০১৭ -র চাকরি প্রার্থীরা যেহেতু তারা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং টেট পাশ করেছেন তাই আর তাঁরাও নতুন করে পরীক্ষা দেবেন না। অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে আন্দোলন করছিলেন দু'পক্ষ। এর মধ্যে ২০১৪-র টেট পাশ প্রার্থীরা ৮৪ ঘণ্টা ধরে অনশন আন্দোলন করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে পর্ষদের অফিসের সামনে থেকে তাদের তুলে দেয় পুলিশ। ফের তাঁরা আন্দোলন শুরু করার হুমকি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি আদালতেও গিয়েছে। তবে পর্ষদ অবশ্য তা মনে করছে না। তাদের দাবি ২০১৪ এবং ১৭ দু'পক্ষই সুযোগ পাচ্ছে পরীক্ষার বসার। এই পরিস্থিতিতে জল কোথায় গড়ায় এখন সেটাই দেখার।