কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক মাধ্যমিকের দফতরে পৌঁছল সিআইডি। শনিবার সিআইডি আধিকারিকদের উপস্থিতি ঘিরে গোটা ভবনের পরিবেশ ছিল থমথমে। অনিমেষ তিওয়ারি নামে এক যুবক জেলার গোঠা এআর হাইস্কুলের শিক্ষকের চাকরি পেলেন ও ৩ বছর ধরে চাকরি করলেন তা সিআইডিকে তদন্ত করে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শনিবার সিআইডি আধিকারিক অনীশ সরকারের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের দল মুর্শিদাবাদের শিক্ষা ভবনে হাজির হন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে লাগাতার জেরা করেন তাঁরা। জেরা করেন গোঠা হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সানোয়ার হোসেনকে। ওদিকে অভিযুক্ত অনিমেশ ও তার বাবা তথা স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে এদিন তলব করা হলেও তারা আসেননি। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের ৩ বারের কংগ্রেসি সদস্য এই আশিস তিওয়ারি। এর মধ্যে একবার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি।
সূত্রের খবর, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে যখন ঘটনা ঘটে তখন পরিদর্শক ছিলেন পূরবী বিশ্বাস। ২০২০ সালের শুরুতে করোনার লকডাউন জারি হওয়ায় ই মেলে দফতরের সমস্ত কাজ কর্ম চলছিল। সেই সুযোগেই অন্যের সুপারিশপত্রের মেমো নম্বর নকল করে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন আশিসবাবু। তবে সেই ছেলে কী করে ৩ বছর চাকরি করল সেই প্রশ্নের জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালে বাবার স্কুলেই চাকরি পান অনিমেষ। ভূগোলের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। মামলাকারী দাবি করেন, ভুগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি ওই যুবক। নথি জাল করে চাকরি পেয়েছেন তিনি। সিআইডি তদন্ত নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে FIR করেছি। উনি প্রতারণা করে ছেলেকে নিয়োগে করেছেন। সরকারি নথি জাল করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সেটা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক নিজে ধরতে পারলেন না কেন? কেন আদালতের নির্দেশের পর তাঁর চেতনা ফিরল? কী ভাবে একই মেমো নম্বরে ২ জন দিনের পর দিন একই সঙ্গে বেতন পেলেন?
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup