রাজনৈতিক ময়দানে একেবারে চোখে চোখ রেখে লড়াই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে বামেদের জুড়ি মেলা ভার। আদর্শগতভাবেও দুপক্ষই দুই মেরুর বাসিন্দা। কিন্তু আর্তের সেবাকে যখন ব্রত হিসাবে দেখেছে রেড ভলান্টিয়ার্স ,তখন কোথাও যেন ভেঙে গেল রাজনৈতিক শত্রুতার সেই বেড়া। তেমনই কার্যত নজিরবিহীন মানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার রানাঘাট। স্থানীয় সূত্রে খবর সোমবার দুপুরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন রানাঘাট উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের নব নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। খবর যায় রেড ভলান্টিয়ার্সদের কাছেও। তবে এনিয়ে আর দুবার ভাবেননি তাঁরা। অক্সিজেন সিলিন্ডার, অ্যাম্বুল্য়ান্স নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হন বাম যুব সংগঠনের সদস্যরা। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করেন তাঁরা। তবে রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে গেরুয়া শিবিরের নেতার পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে রেড ভলান্টিয়ার্সদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
বিধায়ক পূত্র কামনাশীস চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাবার করোনার উপসর্গ রয়েছে। তবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। ডিওয়াইএফ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ‘বিধায়কের ঘনিষ্ঠমহল থেকেই আমাদের কাছে খবর এসেছিল তিনি অসুস্থ। অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। সেই খবর পেয়েই অক্সিজেনের সিলিন্ডার ও অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আমরা হাজির হই। পরে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যক্তিগত গাড়িতেই তিনি গিয়েছেন। কিন্তু অক্সিজেন সহ অ্যাম্বুল্যান্সটিও সঙ্গে গিয়েছে।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে একসময় জড়িয়ে ছিলেন পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি তৃণমূলে গিয়েছিলেন। এবার ভোটের মুখে বিজেপিতে যান তিনি। এনিয়ে বামেরাও বার বার তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু সেটা রাজনৈতিক ময়দানে। আর তিনি যখন অসুস্থ হলেন, তখন সেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে সরিয়ে রেখে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিলেন সেই রেড ভলান্টিয়ার্সরাই।