মাঝের কয়েকটা মাস ঠান্ডা ছিল। ফের তেতে হয়ে উঠল ভাঙড়। সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা এলাকা। ভাঙচুর করা হল পঞ্চায়েত দফতর। মারধর করা হল প্রধান-উপপ্রধান ও আরাবুল পুত্রকে। ভেঙে দেওয়া হল তাঁর গাড়ি। ঘটনাস্থলে ছুটে এলেন আরাবুল ইসলাম। এরই পাল্টা হামলা হিসাবে জমি রক্ষা কমিটির নেতাকে বেধড়ক পেটানো হল। চলল রাস্তা অবরোধ। উত্তেজনা ছেয়ে গেল গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কাশীপুর থানার পাশাপাশি ভাঙড় থানার সহ-ডিএসপি তমাল সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।
একশো দিনের কাজ নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এদিন জমিরক্ষা কমিটির পঞ্চায়েত সদস্যরা কাজের দাবিতে ভাঙড়ের পোলারহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যান। তাঁদের সঙ্গে সেখানে যান এলাকাবাসীরাও। সেখানে কাজ নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও আরাবুলপুত্র হাকিমুল ইসলামের সঙ্গে এলাকাবাসীদের প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ উঠে, এরপরই জমিরক্ষা কমিটির সদস্যরা পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরের আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালায়। মারধর করা হয় প্রধান, উপপ্রধানকে। এমনকী, আরাবুলপুত্রও নিগৃহীত হন জমিরক্ষা কমিটির সদস্যদের হাতে। শুধু তাই নয়, ভাঙচুর করা হয় হাকিমুলের গাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি গাড়িও।
খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ। তবে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরাবুল ইসলাম। ওদিকে পাওয়ার গ্রিড এলাকার কিছুটা দূরে নতুনহাট বাজারে কয়েকশো আরাবুল অনুগামীরা উপস্থিত হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে জমি কমিটির নেতা মির্জা হাসানের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মির্জা হাসানের উপরে আক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ জমি কমিটির সদস্যরা মাছিভাঙা, খামারআইট গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসে। তারপর হাড়োয়া রোডে অবরোধ শুরু করে তাঁরা। অবরোধের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় যানচলাচল।