তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই এবার বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আশিস আগরওয়াল। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ জানান, আশিসবাবু পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন উপাচার্যের কাছে। রেজিস্ট্রারের সিদ্ধান্তে বিস্মিত পড়ুয়ারাও। ফলে একটা টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা দাবিতে টানা ১৭ দিন ধরে ছাত্র আন্দোলন চলছে। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। এমনকী বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে ছাত্রছাত্রীরা ঘেরাও করে রেখেছিলেন রেজিস্ট্রারকেই। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই আধিকারিক। পরে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পান। আর মুক্তি পেয়েই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাকে অন্যায়ভাবে ওরা বন্দি করে রেখেছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি। এতজন ঘরের বাইরে বসে রয়েছে, বেরতেই পারছি না। প্রাণ সংশয় হচ্ছে।’
ঠিক কী বলেছেন জনসংযোগ আধিকারিক? বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আশিস আগরওয়াল পদত্যাগ করেছেন। তাই তিনি আর কোনও কথা বলবেন না।’ জানা গিয়েছে, আন্দোলকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন রেজিস্ট্রার। যার অনুমতি দেননি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাই চাপে পড়েই রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হস্টেল খোলা–সহ অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে বলে দাবি তুলে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। এরপরই বিশ্বভারতী অচল করার ডাক দেন পড়ুয়ারা। তারপর নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছিল, যারা নির্দিষ্ট পরীক্ষা সূচি মেনে পরীক্ষা দেবে না, তাদের ফাইনালের রেজাল্টে ‘ব্যাক’ দেখানো হবে। সেটাও চাপের মুখে পড়ে প্রত্যাহার করা হয়।