লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু বাকি শরিকদের সমর্থনে এনডিএ সরকার গড়ে উঠবে। এটা সত্যিই প্রকৃত এনডিএ সরকার। কারণ বিজেপি এখন সংখ্যালঘু। এই আবহে বাংলার দিকে তাকালে বিজেপি জিতেছে ১২টি আসন। আগের বারের থেকে ৬টি আসন কমেছে। আর এই আবহে কেন তৃণমূল কংগ্রেস সফল? এই প্রশ্ন প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে। আর তারপরই দেখা গেল, লোকসভা নির্বাচন মিটতেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার মানুষের কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি থাকায় রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু কথা দিয়েছিল সহায়তা করা হবে। আর মঙ্গলবার ভোটগণনা শেষ হতেই বুধবার থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বিমা সংস্থাগুলি। নবান্নও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
এই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস সফল। মানুষের কাজ করছে ১০০ শতাংশ। কথা দিয়ে সেই কথা রাখছে। এমনকী বাংলার মানুষের বিপদে–আপদে পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের। এটাই তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ইউএসপি। প্রত্যেকটি নির্বাচনী সভা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি আছে বলে সেটা করা যাচ্ছে না। নির্বাচন মিটলেই দেওয়া হবে। সেটাই শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিপিএমের ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত, ফিরল না লালের হাল
নবান্ন সূত্রে খবর, রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি সংক্রান্ত বিমার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন করে নোডাল অফিসার রাখতে হবে। তাঁদের তথ্য দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে। যে জেলাগুলিতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি, সেখানে জেলাভিত্তিক অফিসার ঠিক করে দ্রুত দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ওয়েবসাইটে এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে। সবসময়ের জন্য হেল্পলাইন চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। আর গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব বিমার টাকা মেটাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এসব মিটলেই মিলবে টাকা।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাময়িক ত্রাণের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু টাকা দিয়ে সাহায্য করা যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ–পর্ব শেষ হওয়ার পরই জুন মাসে দুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। এখন ফলপ্রকাশ হয়ে গিয়েছে। বিপুল জনাদেশ পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। সেটা করা হচ্ছে এখন।