নিজের ছেলের দেহকে মর্গে রেখে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ভোট দিতে ছুটে গিয়েছিলেন রেণুকা মাড্ডি। সেই ভোটে জেতেনও অধীরবাবু। এরপর ঘটনার কথা জানতে পেরে রেণুকাদেবীর বাড়িতে ছুটে আসেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই থেকে ভাই–বোনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় তাঁদের মধ্যে। ভাইফোঁটার দিন দিদির কাছ থেকে ফোঁটা নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
জানা যায়, ২০১৯ সালে ভোটের দিন বহরমপুরে নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হন রেণুকা দেবীর ছোট ছেলে। নিজের সন্তানকে হারিয়েও সেদিন ভোট দিতে বুথে পৌঁছে গিয়েছিলেন রেণুকাদেবী। ভোটদান শেষ করে ছেলের দেহ মর্গ থেকে নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তিনি। গোটা ঘটনাটি জানতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এরপর অধীরবাবুর সঙ্গে রেণুকা দেবীর ভাই–বোনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। প্রতিবছরই ভাইফোঁটার দিন চলে আসেন অধীরবাবু দিদির কাছ থেকে ফোঁটা নিতে। এই বছরও তাঁর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। রেণুকাদেবী বহরমপুরের চালতিয়া এলাকার বাসিন্দা। এই বছরও ভাইকে ফোঁটা দিতে পেরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত রেণুকাদেবী। এই বছর ভাই অধীরকে উপহার হিসাবে দিলেন ব্লেজার।
এদিকে দিদির হাত থেকে ফোঁটা নিয়ে স্বভাবতই খুশি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ভালবাসার টানে আমি বারবার ছুটে আসি। যতবার উনি ডাকবেন, ততবার আসব।’