এমনটাও হয় নাকি? তাঁরা কেউ কখনও এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে শোনেননি বা দেখেননি! তাই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরোল বাজার এলাকার বাসিন্দারা। কারণ, তাঁদের এই এলাকায় একটি গৃহপালিত ছাগলকে মাঠের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে! ঘটনা গড়িয়েছে অনেক দূর। অভিযোগ জানানো হয়েছে স্থানীয় থানায়।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখালিখি শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা সেই সমস্ত তথ্য অনুসারে দাবি করা হচ্ছে, ছাগলটিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগটি উঠেছে সোমবার (২৪ মার্চ, ২০২৫)।
দাবি করা হচ্ছে, এলাকারই এক বাসিন্দা তাঁর পোষ্য ছাগলটিকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। যাতে সে মাঠে চড়ে ঘাস খেসে পারে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি ফের মাঠে আসেন। কিন্তু, তখন সেখানে তাঁর সেই পুষ্যিকে দেখতে পাননি তিনি। ফলে ছাগলের খোঁজে ইতিউতি ঘুরে দেখতে থাকেন ওই ব্যক্তি।
হঠাৎই, তাঁর কানে ছাগলের গোঙানির আওয়াজ আসে। সেই শব্দ শুনে সেদিকেই এগিয়ে যান ছাগলের মালিক। দাবি করা হচ্ছে, এরপর তিনি যে ঘটনা দেখেন, তা দেখে তাঁর চোখ কপালে উঠে যায়!
তিনি দেখেন, এলাকারই এক যুবক ছাগলটিকে চেপে ধরে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে! ছাগলটি যাতে চিৎকার করতে না পারে, তার জন্য তার মুখে শক্ত করে গামছা বেঁধে দিয়েছে অভিযুক্ত! এমন সময়ে ছাগলের মালিক সেখানে পৌঁছতেই ঘাবড়ে যায় ওই যুবক। ছাগলটিকে সেই অবস্থায় সেখানেই ফেলে রেখে পালায় সে।
এরপর খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রামজুড়ে এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। অভিযোগ, এরপরই ছাগলের মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত। মদ্যপান করে এসে তাঁদের উপর হামলা চালায় সে। বাড়ির সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে। তাতে বাড়ির মহিলা সদস্য-সহ মোট চারজন আহত হন। এরপর সটান থানায় চলে যান ছাগলের মালিক ও তাঁর বাড়ির অন্য লোকেরা। সঙ্গে করে ছাগলটিকেও থানায় নিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে।
গোটা ঘটনায় হতবাক হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশও। তারা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। তবে, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অন্যদিকে, মারধরের ফলে যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।