৫ বছরের ছোট্ট মেয়ে, তার উপর অসুস্থ! সেই একরত্তি শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বমি করে ফেলায় তার বাবার সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠল কর্তব্যরত সরকারি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শিশুর বাবাকে দিয়েই হাসপাতালের মেঝেয় ছড়িয়ে থাকা বমি পরিষ্কার করালেন ওই চিকিৎসক!
এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। আর, সেই ঘটনা নজরে পড়তেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহলের মানুষ।
অন্যদিকে, ওই চিকিৎসকের কথা মতো মেয়ের বমি পরিষ্কার করে দিলেও পরে সুপারের কাছে অভিযোগ জানান শিশুটির বাবা। আর, এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছে নদিয়ার শান্তিপুর রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, হেনস্থার শিকার ওই ব্যক্তির নাম সমর শীল। তিনি শান্তিপুরেরই হরিপুর মেলের মাঠ এলাকার বাসিন্দা। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর ৫ বছরের ছোট্ট মেয়েটা জ্বরে ভুগছে। সঙ্গে বারবার বমিও করছে। তাই গত বুধবার মেয়েকে নিয়ে শান্তিপুর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে যান সমর। সেখানেই জরুরি বিভাগের ভিতর তাঁর মেয়ে বমি করে ফেলে।
হিসাব অনুসারে, এই সমস্ত ক্ষেত্রে হাসপাতালের সাফাইকর্মীদেরই ওই বমি পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা। এবং এই কাজ করার জন্য উপযুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মত সরঞ্জামও তাঁদের কাছে থাকার কথা।
কিন্তু, এক্ষেত্রে তেমন কিছুই করা হয়নি। সমরের দাবি, মেয়ে জরুরি বিভাগের ভিতর বমি করে ফেলার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ডেকে পাঠান এবং তাঁকে বলেন, ওই বমি পরিষ্কার করে দিতে! এতে স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে যান সমর। জানতে চান, তিনি কেন হাসপাতালের মেঝেয় পড়া বমি পরিষ্কার করবেন?
সমরের দাবি, এর জবাবে ওই চিকিৎসক তাঁকে জানান, যেহেতু হাসপাতালে কোনও সুইপার উপস্থিত নেই, তাই তাঁকেই বমি পরিষ্কার করতে হবে। কারণ, তাঁরই মেয়ে বমি করেছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি চিকিৎসকের আচরণ নিয়েও।
ঘটনার ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই শিশুর বাবা বমি পরিষ্কার করছেন। এই ঘটনার পর বুধবার রাতে হাসপাতালের সুপারের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সমর। সুপার তারক বর্মন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি সূত্রের।