একেবারে রূপকথার গল্পের মতো চলছিল গোটা ব্যাপারটা। ধনী পরিবারের কন্যার সঙ্গে গরীব পরিবারের ছেলের প্রেম। কিন্তু বাসিন্দাদের দাবি, তা যে এমন ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দেবে গরিব পরিবারের ওই কিশোরকে তা ভাবতেও পারেননি অনেকে। শেষ পর্যন্ত রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল নাবালকের দেহ। সব শেষ হয়ে গেল রেললাইনে। কোল খালি হয়ে গেল মায়ের। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কমবয়সী দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মেয়েটির বাবা বালির ব্যবসায়ী। অনেক ধনসম্পত্তির মালিক। অন্যদিকে ছেলেটির বাবা নেহাতই গরিব। এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য় বার বার কিশোরকে বলেছিলেন কিশোরীর বাবা। কিন্তু প্রেমিকাকে মন থেকে মুছতে পারেনি কিশোর। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বাজার করতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল কিশোর। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার রাতে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল কিশোরের দেহ। তার পরিবারের দাবি মেয়ের বাড়ির লোকজন খুন করে তাকে রেললাইনের ধারে ফেলে দিয়েছিল।
এদিকে পুলিশ অভিযোগ নিতে চাইছে না এই দাবি তুলে বড়শুল এলাকায় কিশোরের দেহ নিয়ে অবরোধ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তার ভিত্তিতে মেয়েটির বাবাকে আটক করা হয়েছে। তবে এটি খুন নাকি দুর্ঘটনা, নাকি আত্মহত্যা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার হতে পারে বিষয়টি। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।