পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সামন্তের বাড়ি। সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার চিকিৎসক পত্নীর নিথর দেহ। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর? স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়ের সঙ্গে তিনি ওই বাড়িতে থাকতেন। ওই মেয়ের কিছু মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে কি মাকে খুন করেছে মেয়ে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন?
এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই চিকিৎসকের পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু তিনি ওই বাড়িতে থাকতেন না। চিকিৎসকও ওই বাড়িতে ইদানিং থাকতেন না। মঙ্গলবার ওই বাড়ি থেকেই পচা গন্ধ পান স্থানীয়রা। এরপরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। দরজা ভাঙার পরে পুলিশ দেখতে পায় বাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে চিকিৎসকপত্নীর নিথর দেহ। দেহটিতে পচন ধরেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এদিকে ওই বাড়িতে মেয়েও ছিলেন। এখানেই প্রশ্ন কীভাবে মৃত্যু হল চিকিৎসকপত্নীর?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান দিন কয়েক আগেই মৃত্য়ু হয়েছে ওই মহিলার। এদিকে এই রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে মুখ খুলতে চাননি পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসকের ছেলেও এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ পরিষ্কার হবে।
তবে গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। তিনি যদি আত্মহত্যা করে থাকেন তবে তার পেছনে কারণটা কী? তবে প্রতিবেশীরা এই মৃত্য়ুর পেছনে মেয়েকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে এখনও মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার নয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।