শনিবার রাতে হলদি নদীতে আচমকা উলটে গিয়েছিল একটি ট্রলার। ট্রলারে থাকা ১৪জন উত্তাল নদীতে তলিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে প্রদীপ মান্না নামে ট্রলার চালকের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ৯জন কোনওরকমে সাঁতরে পাড়ে উঠেছিলেন। অপর একজনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদিকে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছিল নদীতে। এরপর সোমবার সকালে কাটাখালি এলাকায় জেলিংহাম সমুদ্র উপকূলের কাছে উদ্ধার হয় দুজন মৎস্যজীবীর দেহ। মৃতদের নাম রুপেশ খাড়া(২০) ও কাশীনাথ শিট(৪২)। দুজনেরই বাড়ি কাঁথিতে। এনিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩জন।
ঠিক কীভাবে উলটে গিয়েছিল ট্রলারটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের কেন্দামারির জলপাই গ্রাম থেকে ট্রলারে চড়ে ১৪জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। এদিকে উত্তাল নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগে থেকেই পুলিশ প্রশাসনের সতর্কবার্তা ছিল। কিন্তু সেসবকে উপেক্ষা করেই মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। অভিযোগ এমনটাই। নদীর পাড় থেকে কিছুটা দূরে তাঁরা নোঙর ফেলে রাতে নৌকাতেই রান্নাবান্না করছিলেন। এদিকে নদীতে তখন উত্তার ঢেউ। ট্রলারেই কয়েকটি ডিজেলের ড্রাম ছিল। এদিকে ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারটি একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন ডিজেল ভর্তি ব্যারেলগুলি ট্রলারের একদিকে চলে যায়। এর জেরে ট্রলারটি ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে উলটে যায়। এদিকে উপকূলরক্ষী বাহিনী হোভারক্রাফট নিয়ে তল্লাশিতে নামে। উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হয়। রিভার ট্রাফিক পুলিশ স্পিড বোট নিয়ে তল্লাশি চালায়। এরপর ট্রলারডুবির প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল অপর দুই মৎস্যজীবীর দেহ।