সাধারণত বাংলায় রাজনৈতিকদলগুলি বনধের ডাক দেয়। সেই বনধে কখনও সাড়়া পড়ে। আবার কখনও সুপার ফ্লপ হয়ে যায় বনধ। অনেকের মতে, বহু ব্য়বহারে ভোঁতা হয়ে গিয়েছে বনধের অস্ত্র। তবে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় বুধবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল নাগরিক কমিটি। আর নাগরিক কমিটির ডাকা সেই বনধ মিশ্র সাড়া পড়ল শহর জুড়ে। সকালের দিকে বহু ব্যবসায়ী এই বনধে শামিল হন। এমনকী ব্যাঙ্কও বন্ধ ছিল কয়েকটি। মূলত শহরের মধ্য দিয়ে বাস চালানোর দাবিতে এই বনধ।
নাগরিক কমিটির দাবি, বাইপাস নির্মাণের জেরে যাত্রীবাহী বাসগুলি শহরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে না। বেশিরভাগ বাসই বাইপাস ধরে চলে যাচ্ছে। এদিকে এর জেরে মারাত্মক সমস্যা পড়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাস ধরার জন্য অনেক দূরে যেতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। নাগরিক কমিটির দাবি বাসগুলি শহরের মধ্য দিয়েই চালাতে হবে। বিভিন্ন মহলে দাবি জানিয়েও ফল কিছু মেলেনি। অন্য়দিকে শহরে বাস না আসায় সমস্য়ায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। আর তার জেরেই বনধের ডাক দেয় নাগরিক কমিটি।
নাগরিক কমিটির সম্পাদক গোবিন্দ দে বলেন, সরকারি বাস কিছু শহরে ঢুকছে। কিন্তু অন্য় বাস আসছে না। আমরা চাই সরকারি বা বেসরকারি বাস ডালখোলার মধ্যে দিয়ে যেন চলে। ১০০ শতাংশ বনধ সফল হয়েছে। আমাদের মধ্য়ে কোনও রাজনীতি নেই। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। সেকারণে আমরা বনধ ডাকতে বাধ্য় হয়েছি। নিয়মিত শহরের মধ্য দিয়ে বাস চালাতে হবে। বাস শহরে না এলে ব্যবসায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। দাবি না মানা হলে এবার বড় আন্দোলন হবে।