ফের বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেই কর্মীদের অসন্তোষ বেরিয়ে এল। জেলা সভাপতির অপসারণ দাবি করলেন বিজেপি কর্মীরা। স্বভাবতই বিজেপির অন্দরের এই বিদ্রোহকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
বছর ঘুরতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিভিন্ন জেলায় বিজেপির মধ্যে অসন্তোষ ক্রমশই মাথাচাড়া দিচ্ছে। এরইমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির ভিতরের অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে এল। বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলে প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি। তাঁকে অচল পয়সা বলে কটাক্ষ করেন তিনি। প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন অনেকেই। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে গিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু মাত্র প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতিই নন, ধূপগুড়ি ব্লকের প্রাক্তন এক মণ্ডল সভাপতির মতে, জেলার এখনকার বিজেপি সভাপতিই দলকে নির্মূল করে দেবেন।
যদিও বিজেপির অন্দরে এই অসন্তোষকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, এভাবেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের এই টিপ্পনি সম্পর্কে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। একের পর এক বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শুধু বিধায়করাই নন, বিজেপির দুই সাংসদ এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে। ওপরতলার পাশাপাশি দলের নীচু তলাতেও বিজেপির মধ্যে ভাঙন অব্যাহত। কিছুদিন আগে বীরভূমের মহম্মদবাজারে প্রধান, উপপ্রধান সহ ৬ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতটিই তৃণমূলের দখলে চলে যায়।